সেবা ডেস্ক: আগামী বছরের মধ্যে বাংলাদেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। গতকাল ৭ জুলাই রোববার সংসদে আফজাল হোসেন এমপির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন- বিদ্যুৎ, জ্বালনী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ৯৩ ভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় রয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার আগে এ হার ছিল ৪৭ ভাগ।
মন্ত্রী প্রশ্নের জবাবে আরো জানান, বিগত পাঁচ বছরে দেশে ১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহককে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে ২০০৯ সালের ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা থেকে প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২১ হাজার ৬২৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৫৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে আরো ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনসংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
সরকারি দলের এমপি মো. হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্যহার শিল্প গ্রাহকের মূল্যহারের চেয়ে দিগুণ নয়। শিল্প গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেট ৮ টাকা ২০ পয়সা এবং পিক রেট ৯ টাকা ৮৪ পয়সা। অপর দিকে আবাসিক গ্রাহকের গড় বিদ্যুৎ বিক্রয় মূল্যহার ৫ টাকা ৭০ পয়সা। আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে লাইফ লাইন স্লাব (০-৫০ ইউনিট) গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ যার রেট ৩ টাকা ৫০ পয়সা। নিম্নবিত্তদের জন্য এই কম মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।