|
চাঁদপুরের এই স্কুলটি দেখে মুগ্ধ বিশ্ববাসী! |
সেবা ডেস্ক: চাঁদপুর জেলার একটি স্কুলের ছবি ফেসবুুকে বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুর ঘুর করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছবিগুলো দেখে কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না এটি বাংলাদেশের স্কুল! সবুজের মাঝে এমন অনবদ্য স্থাপনা সত্যিই অবাক করার মতো। তাইতো প্রতিষ্ঠানটি দেখতে দূর-দুরান্ত বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন লোকজন এসে ভিড় করছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক বিদেশি নাগরিকও প্রশংসা করেছে অনন্য এই স্থাপনা শৈলীর।
|
বিদ্যালয়টি দেখতে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে |
চাঁদপুর জেলা সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে স্কুলটির অবস্থান। দ্বিতল ভবনটির ছাদে রয়েছে কারুকাজে সজ্জিত সিমেন্ট শীটের ছাউনি। ভবনের মাঝখানে এবং পূর্বপাশে রয়েছে দুটি প্রশস্ত সিঁড়ি। পূর্বপাশের সিঁড়ির নিচে স্কুলের অফিস কক্ষ। আছে প্রশস্ত বারান্দা আছে দু'অংশেই। ভবনের চারপাশ খোলামেলা। পাঠদান করা হয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে।
|
প্রশস্ত বারান্দা আছে বিদ্যালয় ভবনের দু`অংশে |
দিনে সূর্য আর রাতে চাঁদের আলোতে জ্বলজ্বল করে ভবনটি। রয়েছে বাঁশের তৈরি ল্যাম্পশেডও। রয়েছে দুটি আলাদা ওয়াশরুম। আছে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য নানা সরঞ্জাম। খোলা মাঠের এক পাশে সুসজ্জিত মসজিদ। গ্রামের রাস্তা এসে মিশেছে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে। মসজিদটিও দোতলা। স্কুল মাঠের উত্তরে রয়েছে একটি শহীদ মিনার।
|
দিনে সূর্য ও চাঁদের আলোতে জ্বলজ্বল করে ভবনটি |
মো. শাহাবুদ্দিন অণু এই স্কুলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন ২০১৫ সালে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। ওই বছরই ১১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নান্দনিক এই স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু করেন তিনি। স্কুলটির নাম দেয়া হয় ‘শাহাবুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। দু’বছর থেকে স্কুলের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। এখানে প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় ১৬৮ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে।
|
সবুজ প্রকৃতির মাঝে নান্দনিক স্কুলটি |
শাহাবুদ্দিন প্রাইমারি অ্যান্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর কুমার সাহা বলেন, আগামী বছর থেকে হাইস্কুল চালু হয়ে যাবে। এবং ধারাবাহিকভাবে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করা হবে। আমাদের এই বিদ্যালয় দেশের একটি মডেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।