গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা পৌর শহরের পিকে বিশ্বাস রোডস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভটি অযত অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব জেলা পরিষদ থাকলেও ১৮ বছরেও এটি সংস্কার বা এর চারপাশে সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এই স্মৃতিস্তম্ভে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা ওয়ারী নাম খোদাই না করে শিল্পীর দ্বারা তুলি দিয়ে লেখা হয়। এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সময় নামগুলো খোদাই করে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট যতœবান না হওয়ায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম মিশে যাচ্ছে।
এদিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের এই চত্বরটিতে এখন কুকুর, গরু, ছাগলের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া দিনের বেলায় এখানে ভিক্ষুকরা বসে ভিক্ষাবৃত্তির কাজসহ অবসর যাপন করেন। শুধু তাই নয়, রাতের বেলায় ভাসমান পতিরা এই চত্বরের আশেপাশে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। তদুপরি গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইনসহ নানা মাদক দ্রব্য এই এলাকায় ও সাবেক জজ কোর্ট চত্বরেই বেচাকেনা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এই মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে গড়ে উঠেছে নানা ধরণের পন্যের দোকানপাট।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জেলা জাসদ সভাপতি শাহ শরিফুল ইসলাম বাবলু সাংবাদিকদের জানান, গত ২০০১ সালে সাবেক জেলা জজ কোর্ট চত্বরে গণপূর্ত বিভাগ প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই স্মৃতিসম্ভটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে এটি তত্ত¡াবধান করার জন্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলেও জেলা পরিষদ এটি তত্ত¡াবধান বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তিনি আরও বলেন, এর চারপাশের গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি উপস্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং এটি অবিলম্বে সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি জানান।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।