সেবা ডেস্ক: শয়তানের উপাসনা করতে গিয়ে নিজের সহপাঠীকে ধর্ষণ করে বলি দিয়েছে এক শয়তানের উপাসনাকারী কিশোর। আর এ কাজ করতে তাকে সহায়তা করেছে আরও এক সহপাঠী। নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে আয়ারলান্ডের রাজধানী ডাবলিনে।
এ ঘটনায় নিহত ১৪ বছর বয়সী কিশোরী অ্যানা ক্রিগেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। লুক্যান কাউন্টির পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা অ্যানার গলায় শারীরিক নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ বন্ধনী পড়ানো ছিলো বলে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে।
প্যাথলোজিস্ট প্রফেসর ম্যারি ক্যাসিডি জানান, অ্যানার মাথা ও যৌনাঙ্গসহ শরীরের অন্তত ৫০টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আঘাত বেশ গাঢ়। মূলত মাথা ও ঘাড়ে ভারী আঘাতের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাশিয়ায় জন্ম নেয়া অ্যানা ডাবলিনের লুক্যান কাউন্টিতে তার পালক বাবা-মা’র সঙ্গে থাকতো। গেল বছরের ১৪ মে নিখোঁজ হয় সে। অনেক খোঁজাখোজির পরও পুলিশ তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলো না।
অ্যানার পালক বাবা-মা জানান, সে খুবই হাসিখুশি ও প্রাণোচ্ছল একটি কিশোরী ছিলো। তবে হাইস্কুলে ওঠার পর সহপাঠীদের নিগ্রহের কারণে প্রায়ই মানসিক ভাবে বিমর্ষ থাকতো সে।
২০১৮ সালের ১৪ মে নিখোঁজ হওয়ার দিন সে শেষ বিকেলের দিকে ঘর থেকে বের হয়। সে সময় তার এক সহপাঠী তাকে গ্লেনউড হাউজ নামক পরিত্যাক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর আগে থেকেই অপেক্ষা থাকা আরো এক সহপাঠী তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও তাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে।
এ সময় তার অপর সহপাঠী এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি উপভোগ করছিলো এবং প্রয়োজনীয় সহায়তাও করছিলো। এ ঘটনার তিনদিন পর পরিত্যক্ত বাড়িটি থেকে অ্যানার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি আদালত নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দোষী সাব্যস্ত করেছে। এছাড়া আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত অভিযুক্ত উভয় কিশোরের পুনঃ রিমান্ডও মঞ্জুর করেছে।
অভিযুক্ত দুই কিশোরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শয়তানের উপাসনা বিষয়ক বেশকিছু বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া অ্যানার গলায় যে বিশেষ বন্ধনী জড়ানো ছিলো সে একই রকম বন্ধনীও সেখানে পাওয়া গেছে।
এ সম্পর্কে অভিযুক্ত দুই কিশোর জানায় এগুলো তারা শয়তানের উপাসনার কাজে ব্যবহার করতো। এছাড়া অ্যানাকে পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া কিশোর তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেছে যে, ‘সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কোনো কথা নয়, কথা শুধু শয়তানকে নিয়ে।’
তবে সে দাবি করেছে যে, সে অ্যানাকে হত্যা করেনি। তার ওপর সহপাঠি অ্যানাকে অত্যাচার ও ধর্ষণ করার সময় সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।