সেবা ডেস্ক: দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে গত প্রায় ১৫ মাস ধরে কারাবন্দী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়া। তার মুক্তির দাবিতে রাজধানী ছাড়া কোথাও কোন মিছিল চোখে পড়ে না। এই ইস্যুতে দলটির সিনিয়র নেতারা বক্তব্য, প্রেস ব্রিফিংয়ে সীমাবদ্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নানামুখী চাপে কেন্দ্রের নির্লিপ্ততায় বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে ক্ষোভের বিষয়ে জানা গেছে।
এই বিষয়ে রংপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইছ আহাম্মেদ বলেন, কালক্ষেপণ করতে করতে বিএনপির রাজনীতিতে আলস্য ভর করেছে। এভাবে ঈদ-পূজার অপেক্ষা করতে থাকলে বেগম জিয়াকে কোনদিনই মুক্ত করা সম্ভব নয়। ভয়-ভীতি পেয়ে রাজনীতি করলে আগামীতে বিএনপি শুধু খাতা-কলমে টিকে থাকবে, মাঠে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য তৃণমূলের চাপ প্রসঙ্গে রংপুরের এই নেতা বলেন, প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে রয়েছি। চাপ বাড়ছে প্রতিদিন। প্রয়োজনে কেন্দ্র সব পর্যায়ে নেতৃত্ব পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছেন। দলীয় নিষ্ক্রিয়তার কারণে নেতা-কর্মীদের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের নীরবতায় ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের। আন্দোলন নিয়ে নির্দিষ্ট কোন রোডম্যাপ না থাকায় আমরাও তৃণমূলকে আশ্বাস দিতে পারছি না। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
তৃণমূলের অসন্তোষ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দিন যাচ্ছে অথচ দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য কিছুই করতে পারছি না। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও হতাশ। কারণ কার্যকর আন্দোলন করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে তা বুঝতে হবে। বিএনপি নেতা গা-বাঁচিয়ে আইনি লড়াইয়ের কথা বলছেন, তবুও রাজপথে নামতে চাইছেন না। এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি তৃণমূল বিএনপি হতাশার সাগরে ভেসে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সময় থাকতে আমাদের সচেতন হতে হবে। কেন্দ্রকে জেগে উঠতে হবে, তা নাহলে তৃণমূল ঘুমিয়ে পড়বে। এছাড়া তৃণমূলে যেভাবে ক্ষোভ বাড়ছে, তাতে গণ পদত্যাগের বড় ধরণের শঙ্কা রয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।