সেবা ডেস্ক: গতকাল ২৮ মে দুপুরে জামালপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক কালের কন্ঠের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু। ওই ঘটনায় সেদিনই জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
এ হামলার ঘটনায় জামালপুরের সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সুধীমহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। মামলাটির সকল আসামিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৯ মে সকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন জামালপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
২৭ মে জামালপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. সাখাওয়াত হোসেন দলিল লেখক মো. হাবিবুর রহমানের একটি দলিল নিবন্ধনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে দলিলের সাথে দাখিলকৃত জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভুয়া বলে চিহ্নিত করেন। এ সময় সদর সাব রেজিস্ট্রার ৭৭ হাজার টাকার পে-অর্ডার, ভুয়া নামজারি, ভুয়া ডিসিআর কপি ও ভুয়া খাজনা রশিদসহ দলিলটি জব্দ করেন।
২৮ মে দুপুরে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে জমির দলিল নিবন্ধনের ওই বিষয়টির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সদর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে দলিল লেখক মো. হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বলছিলেন। তার সাথে কথা বলে চলে আসার সময় একদল দুর্বৃত্তের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বর্তমানে তার বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক মোস্তফা মনজু নিজে বাদী হয়ে ২৮ মে রাতে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও জামালপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খান রুনুসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জামালপুর শহরের পাথালিয়া এলাকার মো. উকিল মিয়া এবং দেওয়ানপাড়া এলাকার তুহিন খান, স্বজন খান, রাকিব খান, সিদ্দিক মন্ডল, আলমগীর বাচ্চু, দলিল লেখক হাবিবুর রহমান, তুষার খান ও অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন দলিল লেখক।
এদিকে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে জামালপুরে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা ২৯ মে বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর হামলাকারী সকল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর হামলা একটি নিন্দনীয় ঘটনা। এটি সম্পূর্ণ একটি অন্যায় কাজ হয়েছে। উনি যাতে ন্যায়বিচার পান আমরা সে ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখবো।’ একই সাথে তিনি সদর সাব রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়ে জাল কাগজপত্র দিয়ে দলিল নিববন্ধনের ঘটনাটিও তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন।
পরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিকের কার্যালয়ে গিয়ে তাকেও স্মারকলিপি ও মামলার কপি দিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান সাংবাদিকরা। তিনি আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।