সেবা ডেস্ক: নদীপথে খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার রকেট সার্ভিসটিতে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। যার ফলে প্রতিনিয়ত কমছে যাত্রীর সংখ্যা। পাশাপাশি কমছে রাজস্ব আয়। খুলনা থেকে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রকেট সার্ভিসটি ঢাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে সার্ভিসটি প্রায়ই বন্ধ থাকে। এছাড়া খুলনা থেকে নদী পথে ঢাকায় যেতে তুলনামূলক সময় বেশি সময় লাগার কারণেও যাত্রীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে জানা যায়। তবে এই সার্ভিসটি নিয়মিত চালু থাকলে খুলনার এ্যালুমিনিয়াম ও কাপড় ব্যবসায়ীরা কম খরচে পণ্য বহনের সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালে এই রুটের রকেট সার্ভিস থেকে ৭ লাখ ২ হাজার ১৩৭ টাকা রাজস্ব আয় হলেও ২০১৮ সালে রাজস্ব এসেছে ৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৯৪ টাকা। এদিকে বিআইডব্লিউটিসির সূত্র অনুযায়ী ঢাকা-বরিশাল-খুলনা রুটে যাত্রীবাহী জাহাজে ২০১৭-১৮ অর্থবছরেই লোকসান হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
বিআইডব্লিউটিসি’র সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালের ২ অক্টোবর ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা সংকটের কারণে খুলনা-ঢাকা নদী পথের রকেট সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর পুনরায় সার্ভিসটি চালু করা হয়। ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়ার ফলে পুনরায় চালু হওয়ার মাসটিতে রকেট সার্ভিস থেকে রাজস্ব আয় হয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ। যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৩ টাকা। কিন্তু গত দুই বছরের বেশি সময়ে আর কোন মাসেই এমন রাজস্ব আয় হয়নি। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ১২ হাজার ৭২৯ এবং ফেব্র“য়ারি মাসে ৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩৫১ জন যাত্রী এ রুটে সেবা নিয়েছিলেন। যাত্রী ও মালামাল ভাড়াসহ রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৩ টাকা। ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৮৭৭ জন যাত্রী সেবা নিয়েছেন। রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ লাখ ২ হাজার ১৩৭ টাকা। ২০১৮ সালে যাত্রী সেবা নিয়েছেন ২ হাজার ৮৯৭ জন এবং রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৯৪ টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ১২৪ জন যাত্রী সেবা নেন। রাজস্ব আয় হয়েছে ২৮ হাজার ৫৯৯ টাকা। ফেব্র“য়ারি মাসে ১৮৫ জন এবং রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪০ হাজার ৫৬৫ টাকা। মার্চ ও এপ্রিল মাসের রাজস্ব এখনও প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ আঃ মান্নান এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রমোদ বিহার এবং ডকে মেরামত করার জন্য মাঝে মধ্যে রকেট সার্ভিসটি আসতে পারে না। তবে যাত্রী সেবার তুলনায় মালামাল পরিবহনে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, যাত্রী কম যাতায়াত করলেও এ্যানুমিনিয়াম এবং কাপড়ের ব্যবসায়ীরা খুব স্বল্প মূল্যে মালামাল ঢাকা ও বরিশাল থেকে খুলনায় আনতে পারে। তিনি দাবি করেন, সপ্তাহে ১দিনের পরিবর্তে ৩দিন সার্ভিসটি চালু করতে পারলে এটি লাভবান হবে। কারণ ব্যবসায়ীরা এতে করে সুযোগ বেশি পাবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।