সেবা ডেস্ক: গতকাল ২৭ মে সোমবার রাতে জামালপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী প্রচণ্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। ঝড়ে সারা জেলায় পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রেললাইনে গাছ উপড়ে পড়ায় আন্ত:নগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি অল্পের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।
২৭ মে রাত ১১টার দিকে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। জামালপুরে চলতি মওসুমে এটিই ছিলো সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। বাতাসের শো শো শব্দ, একের পর এক বজ্রপাত আর ভারি বর্ষণসহ ঝড়ের তাণ্ডব চলে। ঝড়ের শুরুতেই বিদ্যুৎ চলে গেলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, ২৭ মে রাতের ঝড়ে বড়ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গাছপালা, বিদ্যুতের খুুঁটি উপড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে পরে জানানো হবে।
এদিকে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী আন্ত:নগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২৭ মে রাত ১১টা ৪ মিনিটে জামালপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পরপরই প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে। জামালপুর রেলস্টেশন থেকে বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রেলপথে পাঁচটি গাছ পড়ে। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নূরুদ্দিন অলির নেতৃত্বে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। তারা করাত দিয়ে বিশাল বড় গাছটি কেটে রেললাইন থেকে সরিয়ে দিলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে। মো. নূরুদ্দিন অলি বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, তাদের এই উদ্ধার কাজ ছাড়াও আরো বেশ কয়েক স্থানে রাস্তায় গাছ পরিষ্কার করে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছেন।
ঝড়ের সময় বজ্রপাতে জামালপুর শহরের বজরাপুরে পিডিবির প্রধান গ্রিড স্টেশনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সারা জেলায় পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এছাড়াও জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গাছ ও গাছের ডালপালা পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। জামালপুর শহরের বাইপাস সড়কে ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি সঞ্চালন লাইনের অন্তত ৫০টি খুঁটি উপড়ে পড়ে গেছে। বেশকিছু খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। একই স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১১ কেভি সঞ্চালন লাইনের খুঁটিও কাত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লাইন মেরামতে সেখানে কাজ শুরু করেছে।
জামালপুর পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওবায়দুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইনের মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ২৯ মের মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।