সেবা ডেস্ক: ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানাচ্ছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর রাজনৈতিক দলগুলো। এ থেকে পিছিয়ে নেই জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশও। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের মতো সাম্প্রদায়িক একটি দলের ভারতের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা বৃথা আস্ফালন ছাড়া আর কিছু না। কেননা, দলটি ধর্মনিরপেক্ষ নয় বলেই বিশ্বরাজনীতিতে সমালোচিত।
জামায়াতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার হওয়ার প্রত্যাশা রেখে দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এম. আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ বলেছেন, ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বিজয় লাভ করায় আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এনডিএ জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জামায়াতের এমন প্রচেষ্টা বিফল হবে বলে মন্তব্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপির কাছে প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় জামায়াত। বিএনপি সংসদ নির্বাচনে ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা কামনা করলেও তা না পাওয়ার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় জামায়াতের সঙ্গ। সেসময় ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলো বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে জোর তাগিদ দেয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফলে ভারত সরকারের সুদৃষ্টি তৈরিতে জামায়াতের এই প্রশংসা কোনো কাজে আসবে না বলেই আমার মনে হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জামায়াতের দ্বারা বিএনপি সারা বাংলাদেশে যে নির্যাতন চালিয়েছিল সেই সহিংসতা ভোলার নয়। দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যা যুগে যুগে সমালোচিত হবে। সুতরাং ভারত একটি হিন্দু অধ্যুষিত দেশ হওয়ায় জামায়াতকে কোনোদিনই সহজ চোখে দেখবে না বলেই আমার মনে হয়। বরং জামায়াতের কারণে বিএনপিও ভারতের সুদৃষ্টি পাবে না।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।