সেবা ডেস্ক: খুলনায় ‘স্বপ্নের দোকান’ থেকে বিনামূল্যে ঈদের পোশাক পেয়েছে সুবিধাবঞ্চিত ৮৪ জন শিশু। নতুন পোশাক পেয়ে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
শনিবার বেলা ১১টায় মহানগরের শহীদ হাদিস পার্কের দক্ষিণ গেটে ‘স্বপ্নের দোকান’ থেকে পছন্দমতো ঈদের পোশাক শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ‘স্বপ্নের দোকান’ খুলনা ব্রাঞ্চ পরিচালিত হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করেছে কমনওয়েলথ ডেভেলপমেন্ট ফর পিস (সিডিপি) নামে একটি সংস্থা।
সকালে খুলনার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা শহীদ হাদিস পার্কের দক্ষিণ গেটে ‘স্বপ্নের দোকান’ এ নতুন পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেন। আর আগের ঘোষণা অনুযায়ী, নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে পোশাক নিতে আসে। ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই ছিল এ সুযোগ। ফ্রগ, শার্ট, গেঞ্জি-যার যেটি পছন্দ- শিশুদের হাতে সেটিই তুলে দেওয়া হয়। ঈদকে সামনে রেখে নতুন পোশাক পেয়ে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের মুখে খুশির হাসি লক্ষ্য করা যায়।
এ কার্যক্রমে অংশ নেন ‘স্বপ্নের দোকান’ খুলনা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ‘ল’ বিভাগের শিক্ষার্থী শিঞ্জয় রায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌমিতা মৌ রায়, নাঈমা সুলতানা স্নিগ্ধা, ফাহমিদা দৃষ্টি, এমকে বর্মন, ফারজানা ফনিসহ অনেকেই।
‘স্বপ্নের দোকান’ খুলনা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শিঞ্জয় রায় বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতেই তাদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়েছে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৬টি ব্রাঞ্চ থেকে শনিবার একসঙ্গে ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ৪২টি ছেলে এবং ৪২টি মেয়ে মিলে মোট ৮৪টি পোশাক বিতরণ করা হয়। এর আগে ‘স্বপ্নের দোকান’ এর উদ্যোগে ২০১৭ সালে একটি ও ২০১৮ সালে ১২টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে নতুন পোশাক দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে স্থায়ী সহায়তার লক্ষ্যে শিশুদের পরিবারে রিকশা এবং সেলাই মেশিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।