গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে আজ ২৭ মে সোমবার দুপুরে ভিজিডি চাল বিতরণের সময় বিতরণস্থলেই ব্যবসায়িদের কাছে সেই চাল বিক্রি করে দেয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পাইকাররা কার্ডধারীদের কাছ থেকে এসব চাল কিনে নিচ্ছে। যা সম্পুর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ।
এভাবে চাল বিক্রি করায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে চালের বস্তাসহ দুটি রিক্সাভ্যান আটক করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে চালের বস্তাগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এলাকাবাসির অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এভাবে উত্তোলিত ভিজিডির চাল ইউনিয়ন পরিষদের সামনেই বেচাকেনা হলেও প্রভাবশালীদের কারণে কেউ তা নিয়ে মাথা ঘামায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, যারা কার্ড পেয়েছে তাদের একটি বড় অংশই প্রভাবশালী। সুতরাং ভিজিডির চাল তারা বাড়িতে খাওয়ার জন্য না নিয়ে বিতরণ কেন্দ্রেই স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরবর্তীতে চাল হোসেনপুরের তেতুলেরতল নামক এক চাতাল ব্যবসায়ীর কাছ এসব চাল বিক্রি করে দেয়া হয়।
এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের জন্য ৪৯১টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্ব›েদ্বর কারণে এ ইউনিয়নের ভিজিডির কার্ডের তালিকা চুড়ান্ত করতে ৫ মাস লেগে যায়। এই ৫ মাস সংশ্লিষ্ট কার্ডধারীদের চাল বিতরণ করা হয়নি। গতকাল সোমবার এই চাল বিতরণ করাকে নিয়েই এলাকায় নানা অভিযোগ উঠেছে।
ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম পারভেজ সেলিম বলেন, কার্ডের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অনেকেই কার্ড পেয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, স্বচ্ছল ওই কার্ডধারীরাই এসব চাল ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কার্ড প্রাপ্তিদের তালিকা তদন্ত করে যাচাই বাছাই করা হলেই কার্ড বিতরণে অনিয়মের রহস্য উদঘাটিত হবে।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য খলিলুর রহমান খলিল বলেন, কার্ডধারীরা যদি চাউল বিক্রি করে তাহলে আমাদের কি করার আছে।
এব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম টলষ্টয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাল সুষ্ঠুভাবেই বিতরণ করা হচ্ছে। কেউ যদি চাল উত্তোলনের পরে তা অন্যত্র বিক্রি করে দেয় তাহলে করার কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, এব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।