ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২০ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার দুপুরের দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল ও তার সমর্থদের সাথে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টু ও তার সমর্থদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ তারেক হেলাল ও যুবলীগ নেতা বনি আমিন মিন্টুসহ উভয় পক্ষের ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা এমএ তারেক হেলালের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী বাদী হয়ে সোমবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও তার শ্যালক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টুসহ ২০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে শফিকুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরন করেছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আব্দুল হাই খোকনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্ব মহুর্তে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মামলায় শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
⇘সংবাদদাতা: ধুনট প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।