ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ ব্রীজের পাটাটন ভেঙ্গে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছবি- সেবা হট নিউজ |
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ বেইলী ব্রীজটি ব্যস্ততম একটি ব্রীজ। বাঁশখালীর পশ্চিম উপকূলীয় জলকদর খালের উপর নির্মিত ছনুয়া-শেখেরখীলের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল সহ মালবাহী নানা যানবাহন যাতায়ত করে। উপকূলীয় এলাকার ছনুয়া ও শেখেরখীল ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত থাকে। বঙ্গোপসাগর থেকে বড় বড় ট্রলারে মাছ ধরে নিয়ে আসে জলকদরের তীরে। আর সকাল-সন্ধ্যায় পরিবহনে ব্যবহৃত হয় গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি। এ ব্রীজটি বেশ অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।
তাছাড়া ছনুয়া ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম পুইছড়ি-মৌলভী বাজার সড়কের সংস্কার কাজ চলার কারনে ওই ইউনিয়নের সামগ্রীক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন এই ব্রীজে। গত দু'মাস আগে সেবাহট নিউজে প্রকাশিত হয় স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন কোম্পানি সাগর থেকে মাছ আহরণ করে আসা বোটের জাল গুলো প্রতিনিয়ত বেইলী ব্রীজের উভয় পাশে সারি করে শুকানোর সংবাদটি। যার ফলে সাগরের লবণাক্ত পানি জমে মরিচা ধরতে শুরু করছে ব্রীজের পাটাটনে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজে সাগরের জাল শুকানোর কারণে লবণাক্ত পানি জমে ব্রীজের পাটাটনে মরিচা ধরলে এক পর্যায়ে ব্রীজটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ছনুয়া-শেখেরখীল সংযোগ ব্রীজের অধিকাংশ পাটাটন মরিচা ধরে খসে পড়ছে। কোথাও কোথাও বড় বড় ফুটো হয়ে সাধারণের চলাচলসহ যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অতীব জরুরী কাজে ব্যবহৃত দু-একটি সিএনজি-অটোরিক্সা ভেঙ্গে যাওয়া পাটাটনে আটকা পড়ে নানা দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও সওজ কর্তৃপক্ষ কোন খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। ব্রীজটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে, অতঃপর পাটাতন ভেঙ্গে পড়ায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে ছনুয়া-শেখেরখীলের যোগাযোগের একমাত্র সেতুবন্ধনকারী ব্রীজটির পাটাতন ভেঙ্গে পড়া সত্ত্বেও অটোভ্যান, ভটভটি ও রিক্সায় করে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে কোন রকম। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
⇘সংবাদদাতা: শিব্বির আহমদ রানা
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।