রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার উপ-সহকারি ভবনগুলি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ভবনগুলি ব্যবহার না করায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতায় ৫টি সরকারী উপ-সহকারী ভবন রয়েছে। যাহা উপ-সহকারীর কৃষি কর্মকর্তারা ব্যবহার করার কথা। ভবনগুলি ব্যবহার না করায় লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কৃষি অধিদপ্তরের আওতায় ৫টি ভবন সরকারী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য এলাকার কৃষকদের কৃষি কাজে দোড়গোড়ায় থেকে কৃষক সঠিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ সহজতর ভাবে করতে পারে সে উদ্দেশ্যে সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে উপ-সহকারী ভবন তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। উপ-সহকারীগণ কৃষকদের কোন কাজে আসা তো দূরের কথা বরং উপ-সহকারী ভবন গুলি ব্যবহার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে।
বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস সালাম, আব্দুর রাজ্জাক, ফজর আলী ও কলিম উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, সরকার কৃষকদের সুবিধার জন্য উপসহকারীদের থাকার জন্য সরকার ভবন নির্মান করে দিয়েছে। তাহা ব্যবহার না করে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে। এতে ভবন গুলি জরাজীর্ণ অবস্থার কারনে অনেক শিশুরা ভবনের আশপাশে যেতে ভয় পায়। এবং জরাজীর্ণ থাকার কারনে অনেক যুবসমাজ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করারও সুযোগ পেয়েছে। সরকারী ভবন গুলি পূর্ণ সংস্কার করে উপ-সহকারীদের থাকার ব্যবস্থা করে এলাকার কৃষকের সহজতর কৃষিকাজে নিয়োজিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার কৃষকগণ।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেনকে বলেন, উপজেলায় ৫টি উপ-সহকারীদের কৃষকদের কৃষি কাজে সহযোগীতার জন্য উপজেলায় উপ-সহকারীদের ৫টি ভবন রয়েছে। যাহা অনেক আগের নির্মান করা। বর্তমানে তাহা ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় উপ-সহকারীগণ ঐ ভবনে থাকতে পারছেন না। তবে আমাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জানানো হয়েছে। উপজেলায় তাদের জন্য একটি ভবন ও জরাজীর্ণ ভবনগুলি পুনরায় সংস্কার করে এলাকার কৃষকদের কৃষিকাজে সহযোগীতার জন্য সুব্যবস্থার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: রৌমারী প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।