সেবা ডেস্ক: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যান্য বারের তুলনায় ভালো থাকায় গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দেশের সর্বস্তরের ভোটাররা স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্র গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
গবেষকদের হিসেব বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশের মতো ভোটারই ভোট দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে। যেখানে সংসদ সদস্য নির্বাচনে জনগণের ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দশ বছরে দেশের উন্নয়নের চিত্র এতোটা স্পষ্টরূপে ফুঁটিয়ে তুলেছেন যে, জনগণের ভালোবাসা নিয়েই দলকে জিতিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতার মাসে জনগণের দেয়া এমন উপহারের জন্য দেশবাসীর প্রতি ইতোমধ্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসাথে দেশের মানুষের কল্যাণে যাবতীয় চলমান কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা আঙ্গুলের কড়ে গুণে বাস্তবায়নেরও আশ্বাস দিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে সব থেকে বড় যে বিষয়টি তিনি জাতির সামনে তুলে এনছিলেন তা হলো ‘দেশের তরুণদের সঠিক পথ দেখিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।’
নির্বাচনে জয়ের পর এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের পর দেশ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে। জনগণের সেবা করাটা একটি বড় কাজ এবং আমি যত দিন বেঁচে থাকব জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাব।’
‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত’ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবারের সংসদ নির্বাচনে তরুণ অনেককেই দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছে।
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তরুণদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন মূল্যায়নের বিষয়টি জনগণও বুঝতে পেরে নির্বাচনে তরুণদের অবমূল্যায়ণ করেনি। দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে নিজেদের মূল্যবান ভোটে বিজয়ী করেছে তরুণ প্রার্থীদের।
শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনায় চড়ে এরইমধ্যে অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়েছে দেশ। সরকার গত দশ বছরের ক্ষমতাকে সঠিক পথে ব্যবহার করে প্রযুক্তিকে জনসাধারণের নাগালের মধ্যে এনেছে অনেকটা।
আ.লীগ সরকারের মেয়াদেই ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনার উদ্যোগে পাস হওয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্ক প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু প্রকল্পের নির্মাতা নিয়োগসহ পার্কের কাজ এগিয়ে নিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়।
মাঝের বিএনপি-জামায়াত সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেও প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যায়নি। পরবর্তীতে হাসিনা সরকারের প্রচেষ্টায় সেই লড়াইয়ে জেতে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২৮ জানুয়ারি সেই স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তা শেষ করার জন্য শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। যেখানে আমাদের মতো তৃতীয় বৃহত্তম ফ্রি-ল্যান্সারের দেশ, তরুণদের অংশগ্রহণে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।’
হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নে আইনি বাধা কাটিয়ে ওঠার পর আশা করা হচ্ছে, ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (জনতা টাওয়ার) স্থাপনের কাজও খুব দ্রুত শুরু করা যাবে। পাশাপশি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এই পার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যেসব আইনি ঝামেলা রয়েছে অচিরেই সেগুলোরও সুরাহা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি আইটি ভিলেজ বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সরকারের পরিত্যক্ত ভবন ও জমিতে সফটওয়্যার টেকনোলজি কেন্দ্র করার কথাও ভাবছেন তিনি।
সরকারের একটি সূত্রে জানিয়েছে যে, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪টি জেলার এক লাখ গ্রামীণ নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে (ফ্রিল্যান্সার টু এন্ট্রাপ্রেনর) তাদের জন্য খুব কম সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পক্ষ থেকে যৌথভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে একটি সনদ দেয়া হবে এবং তার ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা হবে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ হাজার ফ্রি-ল্যান্সার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছে, গত দশ বছরে এরইমধ্যে বাংলাদেশে ১৫ হাজার ফ্রি-ল্যান্সার তৈরি হয়েছে। যা আগামীতে দুই লাখও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে ২৫ হাজার মানুষ যাতে ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন’ সনদ পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হলে দেশের যুবসমাজ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে বেরিয়ে এসে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সহযাত্রী হবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
গবেষকদের হিসেব বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশের মতো ভোটারই ভোট দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে। যেখানে সংসদ সদস্য নির্বাচনে জনগণের ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দশ বছরে দেশের উন্নয়নের চিত্র এতোটা স্পষ্টরূপে ফুঁটিয়ে তুলেছেন যে, জনগণের ভালোবাসা নিয়েই দলকে জিতিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতার মাসে জনগণের দেয়া এমন উপহারের জন্য দেশবাসীর প্রতি ইতোমধ্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসাথে দেশের মানুষের কল্যাণে যাবতীয় চলমান কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা আঙ্গুলের কড়ে গুণে বাস্তবায়নেরও আশ্বাস দিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে সব থেকে বড় যে বিষয়টি তিনি জাতির সামনে তুলে এনছিলেন তা হলো ‘দেশের তরুণদের সঠিক পথ দেখিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।’
নির্বাচনে জয়ের পর এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের পর দেশ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে। জনগণের সেবা করাটা একটি বড় কাজ এবং আমি যত দিন বেঁচে থাকব জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাব।’
‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত’ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবারের সংসদ নির্বাচনে তরুণ অনেককেই দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছে।
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তরুণদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন মূল্যায়নের বিষয়টি জনগণও বুঝতে পেরে নির্বাচনে তরুণদের অবমূল্যায়ণ করেনি। দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে নিজেদের মূল্যবান ভোটে বিজয়ী করেছে তরুণ প্রার্থীদের।
শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনায় চড়ে এরইমধ্যে অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়েছে দেশ। সরকার গত দশ বছরের ক্ষমতাকে সঠিক পথে ব্যবহার করে প্রযুক্তিকে জনসাধারণের নাগালের মধ্যে এনেছে অনেকটা।
আ.লীগ সরকারের মেয়াদেই ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনার উদ্যোগে পাস হওয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্ক প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু প্রকল্পের নির্মাতা নিয়োগসহ পার্কের কাজ এগিয়ে নিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়।
মাঝের বিএনপি-জামায়াত সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেও প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যায়নি। পরবর্তীতে হাসিনা সরকারের প্রচেষ্টায় সেই লড়াইয়ে জেতে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২৮ জানুয়ারি সেই স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তা শেষ করার জন্য শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। যেখানে আমাদের মতো তৃতীয় বৃহত্তম ফ্রি-ল্যান্সারের দেশ, তরুণদের অংশগ্রহণে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।’
হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নে আইনি বাধা কাটিয়ে ওঠার পর আশা করা হচ্ছে, ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (জনতা টাওয়ার) স্থাপনের কাজও খুব দ্রুত শুরু করা যাবে। পাশাপশি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এই পার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যেসব আইনি ঝামেলা রয়েছে অচিরেই সেগুলোরও সুরাহা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের মেধাকে কাজে লাগাতে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি আইটি ভিলেজ বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সরকারের পরিত্যক্ত ভবন ও জমিতে সফটওয়্যার টেকনোলজি কেন্দ্র করার কথাও ভাবছেন তিনি।
সরকারের একটি সূত্রে জানিয়েছে যে, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪টি জেলার এক লাখ গ্রামীণ নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে (ফ্রিল্যান্সার টু এন্ট্রাপ্রেনর) তাদের জন্য খুব কম সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পক্ষ থেকে যৌথভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে একটি সনদ দেয়া হবে এবং তার ভিত্তিতে ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা হবে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ হাজার ফ্রি-ল্যান্সার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছে, গত দশ বছরে এরইমধ্যে বাংলাদেশে ১৫ হাজার ফ্রি-ল্যান্সার তৈরি হয়েছে। যা আগামীতে দুই লাখও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে ২৫ হাজার মানুষ যাতে ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশন’ সনদ পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হলে দেশের যুবসমাজ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে বেরিয়ে এসে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সহযাত্রী হবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।