নতুন বছরে আসছে নতুন সরকার

S M Ashraful Azom
0
নতুন বছরে আসছে নতুন সরকার

সেবা ডেস্ক: গত ৩০ ডিসেম্বর রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের জয়ের মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষ পেয়েছে নতুন সরকার। ২০১৮ সালের সকল ভুলগুলোকে ভুলে গিয়ে নতুন বছর ২০১৯ এ আওয়ামী লীগ গঠন করতে যাচ্ছে তাদের নতুন মন্ত্রী পরিষদ। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা জানিয়েছে, নিরঙ্কুশ জয় এবং টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিশেষ অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন মন্ত্রিসভা সাজানো হবে। মন্ত্রিসভার কলেবর সামান্য বাড়ানো হতে পারে। মন্ত্রিসভায় মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের একটি করে পদ বহাল থাকছে। এদিকে জাতীয় পার্টি একই সঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দলে থাকতে পারে যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

আরও দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনার জন্য শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভায় বড় চমক রাখতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের দু-একজনের পদোন্নতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুরোনোদের মধ্যে থেকে বাদ দেওয়া এবং নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করার কাজটি বেশ জটিল হবে। দল ও জোটের বর্ষীয়ান নেতাদের পাশাপাশি নতুন মন্ত্রিসভায় নবীন নেতৃত্বও অগ্রাধিকার পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৫৩ সদস্যের মধ্যে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা এবার বাদ পড়তে পারেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এ ছাড়া তৃণমূল পর্যায় থেকে জনপ্রিয় কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলেও জানা গেছে।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ যাবার আলোচনায় আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি এবং তিনি অর্থমন্ত্রীও থাকছেন না। এ ব্যাপারটি নির্বাচনের আগে থেকেই মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। তবে গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি আরও এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীরা ২৮৮টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই ২৫৭টি আসনে বিজয় অর্জন করেছে। তারপর থেকেই চলছে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ এবং নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে নানামুখী আলোচনা। এমন প্রেক্ষাপটে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন সরকার গঠন ও মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা জানান, আগামিকাল বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নেবেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

নির্বাচনে এত বড় বিজয়ের পরও তা উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর পেছনে মূল কারণ, উদযাপন করতে গিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে, হতে পারে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও। তাই উদযাপনের চেয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে দেশের সাধারণ মানুষেরা মনে করছে নতুন বছরে নতুন সরকার গঠনের মধ্যমে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে উন্নয়নের দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top