নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের তীব্রতায় বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়া। কনকনে শীত ও কুয়াশায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জ্বর সর্দিসহ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে।
এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, তীব্র শীত ও কুয়াশায় বোরো চাষের বীজতলা ও রবি শস্য ক্ষেত ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই নেই পশুপাখিদেরও। আয় কমে গেছে দিনমজুরদেরও।
অন্যদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে শহরের অভিজাত বিপণী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভিড়। ব্যবসায়ীরা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোর্টসহ ছোট-বড়দের বিভিন্ন রকমের শীতবস্ত্র বিক্রি বাড়ছে। সব শ্রেণীর জনগণই তাদের ক্রেতা। শীতবস্ত্র বিক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকজন এখান থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসছেন। শীত যতো বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা ততোই বাড়ছে।
এ পর্যন্ত সরকারিভাবে পাঁচটি ইউনিয়নে ১৬’শ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি।
ভ্যান চালক হযরত আলী, মেরিনা বেগম বলেন এতো শীত যাচ্ছে তবুও কেউ শীতের কাপড় সাহায্য করেনি। আমাদের দিকে কেউ কোনো দিন খেয়াল করে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল জানান, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কাশি, সর্দিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। শনিবার পর্যন্ত ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তবে এভাবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে।
⇘সংবাদদাতা: নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।