সেবা ডেস্ক: ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার যে স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন সেই স্বাধীনতা উদিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হকদের হাতে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন পেরিয়ে একাদশ শতাব্দীর আওয়ামী লীগ এখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাসহ ১৬ কোটি মানুষের।
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮। বাঙালীর ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনা এ দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে যার প্রতিদান দিয়েছে এদেশের আপামর জনসাধারণ।
২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত ১০ বছর পার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে দিয়েছে জনগণ। গত পর্বে জাতির জনকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর ভাষায়, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চমৎকার। এটা আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য অনুসরণীয়। নোবেল লরিয়েট অমর্ত্য সেনের ভাষায়, সামাজিক-অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। এমনকি সামাজিক সূচকের কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভারত থেকে এগিয়ে। অনেক বড় বড় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমাপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে।
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করার পরও দৃঢ়তার সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে আজ তা সমাপ্তির পথে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেলপথ, বঙ্গবন্ধু সেতুতে পৃথক রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রামপাল ও মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ সর্বমোট ১১৯টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩,২০০ থেকে এই ডিসেম্বরে ১৮,০০০ মেগাওয়াট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.৫ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ডলার, রফতানি আয় ১০.৫২ থেকে ৩৪.৪২ বিলিয়ন ডলার, পায়রাবন্দর, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ শতাংশ করে জনগণের মাথাপিছু আয় ১,৭৬৫ ডলারে উন্নীত করেছেন। সবল-সমর্থ আর্থসামাজিক বিকাশ নিশ্চিত করার ফলে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি।
ভিশন-২০২১ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং মধ্যম আয়ের দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছে।
২০২১-এ যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ হবে পরিপূর্ণভাবে মধ্যম আয়ের দেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুটি লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেছেন। একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আরেকটি অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। সেই কাজটি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করে চলেছেন টানা তৃতীয় মেয়াদে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।