বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা : জামালপুরের বকশীগঞ্জের কৃতি সন্তান আবুল কালাম আজাদকে আবার মন্ত্রী করার দাবি উঠেছে । বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সর্বত্র আলোচন চলছে তাকে নিয়ে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ আসন ( বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ) থেকে পঞ্চম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল কালাম আজাদ। সে বার বিএনপি সরকার গঠন করায় তেমন উন্নয়ন করতে না পারলেও ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হলে তাকে তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী করে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি মন্ত্রী হয়েই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ , অবকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল ভবন নির্মাণ কাজ হয়।
এরই মধ্যে ২০১৪ সালে চতুর্থ বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তাকে দেয়া হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব। ৫ জানুয়ারিতে নির্বাচিত হওয়ার পর বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় কয়েকশ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেন। তিনি বিশেষ করে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া , মেরুরচর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে চরের জীবনযাত্রা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হন।
প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদুৎ, রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তবে এখনো এই দুই উপজেলায় অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এই বাকি কাজ গুলো সম্পন্ন করতে ৩০ ডিসেম্বর স্থানীয় জনগণ তাকে ফের নির্বাচিত করে।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর বকশীগঞ্জ উপজেলার মানুুষের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মানুষের দাবি উঠেছে নতুন মন্ত্রিসভায় আবুল কালাম আজাদকে গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে তাকে আবারো মন্ত্রী করার।
বকশীগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ প্রবীন নেতা আবুল কালাম আজাদকে মন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
⇘সংবাদদাতা: বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।