ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের মা লাইলি বেগম জানান, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী গ্রামের ছোরহাবের মেয়ে কল্পনা (২২) সাথে আমার ছেলে নুরনবী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই স্বামী নুরনবীসহ পরিবারের কারো সাথেই নববধূ কল্পনা খুব একটা কথা বলতো না। হত্যার রাতেই প্রতিবেশী জিয়ারতের দেয়া সংবাদে আমার ছেলে নুরনবীর ঘরে গিয়ে দেখি সে শুয়ে আর পাশে দাঁড়িয়ে স্ত্রী কল্পনা আর ঘরের মেঝেতে পরে আছে দড়ি। কল্পনা আমার ছেলে নুরনবীকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করার পর কেন আমার ছেলে আত্মহত্যা করবে ? আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী জিয়ারত মিয়া জানান, আমি রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ নুরনবীর ঘরে কেউ ছটফট করছে এমন শব্দ শুনতে পাই। বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় আমি তার ঘরের মেঝের নিচ দিয়ে উকি দেই। এ সময় দেখতে পাই নুরনবীকে স্ত্রী কল্পনা খাটের নিচ থেকে খাটে উঠাচ্ছে। তাৎক্ষনিক আমি নুরনবীর পরিবারসহ প্রতিবেশী দারোগ আলীকে ঘটনাটি জানাই। পরে নুরনবীর মা ঘরে ঢুকে ছেলের মরদেহ খাটে পরে থাকতে দেখেন। এছাড়াও নিহত নুরনবীর গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন দেখতে পান বলেও জানান তিনি। এ কারণেই তাদের ধারণা, নুরনবীকে স্ত্রী কল্পনা হত্যা করেও আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নুরনবিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী কল্পনা গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে। নুরনবী একজন খেটে খাওয়া মানুষ, সে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। এরপরও নিজ ইচ্ছায় বিয়ের করার অল্প কয়েকদিনের মাথায় কেন আত্মহত্যা করবে সে। এছাড়াও একই ঘরে শয়নরত স্বামী আত্মহত্যা করছে আর স্ত্রী সেটি টের পাবেনা এটা কি কোন বিশ^াসযোগ্য বিষয় বলেও জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইদুল হক ভুঁইয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শনিবার সকালে উদ্ধারকৃত মরদেহটি ময়নতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এছাড়াও থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে।
⇘সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।