রাজনীতিঃ চলমান সময়ে সরকারের উপর এমন কোন রাজনৈতিক চাপ ছিল না যে সংলাপ করতেই হবে। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সদিচ্ছা থেকেই একটি গ্রহনযোগ্য ও অংশ গ্রহনমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য এই সংলাপের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সংলাপ করছেন, জামাত ছাড়া সকল দলের সাথে। নিঃসন্দেহে দেশের রাজনীতিতে এটি বিরল একটি ঘটনা।
জননেত্রী শেখ হাসিনা'র রাজনৈতিক ইমেজ এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বগন্ডিতে প্রসংশিত। এটিকে যৌক্তিক অবস্থানে ধরে রাখার প্রয়োজনেই এখন সুষ্ঠ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান তাঁর জন্য সময়ের দাবী। এ দাবীকে ধারণ করেই তিনি সংলাপের আহবান কে স্বাগত জানিয়ে তা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সংলাপের মাধ্যমে তিনি সকলকে একটি গ্রহনযোগ্য অবস্থানে নিয়ে আসতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস।
গতকাল ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়েছে। এই আন্দোলনের স্বরুপ কি হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজেছি। যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি ঠান্ডা মানুষ। এ থেকে বুঝা যায় আন্দোলনের স্বরুপও শান্তিপূর্ণই হবে। সেটাই যদি হয়, তবে সংলাপও একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। এর মাধ্যমেই একটি গ্রহন- যোগ্য সমাধানে উপনীত হওয়ার সুযোগ চলছে।
এটি বিফল হলে কোন আন্দোলন করেই সরকারকে দিয়ে সংবিধানের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্র পরিবেশ হবে সংঘাতময়, যা এদেশের মানুষ কোনভাবেই প্রত্যাশা করে না এবং গ্রহনও করবে না।
সেই অর্থে একটি গ্রহনযোগ্য ও অংশ গ্রহনমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সংবিধানের আওতায়ই সমাধান বের করার কোনই বিকল্প নেই। ভরসা এখন নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে সাবলীল করা এবং সাংসদ ও মন্ত্রী-পরিষদের ক্ষমতাকে সীমিত করাই একমাত্র পথ।
আজকে ঐক্যফ্রন্টের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপের মাধ্যমে চলমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথই এখন এটি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই পথের বাইরে গিয়ে কোন সমাধান পাবেন না এটিও এখন বাস্তবতা।
হ্যাঁ, অপেক্ষা! সময়ই বলে দিবে কি হবে আগামীতে? আমি ভাল কিছুই দেখতে চাই।
জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।।
লেখকঃ
অধ্যাপক সুরুজ্জামান হোসেন
সাংবাদিক, জামালপুর প্রেস ক্লাব।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।