টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে বিএনপির এমপি প্রার্থীতার দাবিতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সহোদর তিন ভাই। এ জেলার এমপি প্রার্থীতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী সহোদর তিনভাই হলেন, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সাবেক শিক্ষা ও তথ্য উপ-মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশ সাজা প্রাপ্ত ও কারাবন্দী আসামী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা ও রাজাধানীর রমনা থানার নাশকতার মামলায় কারাবন্দী জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে বিএনপির নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে নিজের ও তার কারাবন্দী দুই সহোদর ভাইয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকায় মোট তিনটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা। তবে এখনো মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
একটি বিশেষ সূত্র জানায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলার ৮টি আসনের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) ও টাঙ্গাইল-২ ( গোপালপুর-ভূঞাপুর) এই দুইটি আসনের প্রার্থীতার দাবিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা।
এ তিন সহধর ভাইয়ের দাবিকৃত আসন দুটির মধ্যে জেলা শহর টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের দলীয় প্রার্থীতার দাবিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
এছাড়াও টাঙ্গাইল-২ ( গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে দলীয় প্রার্থীতা দাবিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অপর দুইভাই বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সাবেক শিক্ষা ও তথ্য উপ-মন্ত্রী এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত কারাবন্দী আসামী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা জানান, দেশনেত্রী ও দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনিত প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা থেকেই আমি ও আমার কারাবন্দী দুই ভাইয়ের জন্য মোট তিনটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা রাখি দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের এ আসন দুটির মনোনয়ন নিয়ে বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সাবেক শিক্ষা ও তথ্য উপ-মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশ সাজা প্রাপ্ত ও কারাবন্দী রয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু।
১৯৯২-৯৩ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জিএস থাকাকালীন সময়ের ১৯৯৪-৯৫ সালে গুলি করে তিন ছাত্র হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়া স্বত্তেও কোন কারাভোগ ব্যতিত ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন বিএনপি রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান বর্তমান টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা।
এছাড়াও রাজধানীর রমনা থানার নাশকতার মামলায় কারাবন্দী রয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
এই তিন বিতর্কিত ভাই নির্বাচনে আসতে পারেন কি না সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে সাধারণ জনগণ তাদের ভালো করেই জানে। কাজেই, নির্বাচনে আসা না আসা তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না।
⇘সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
এই তিন বিতর্কিত ভাই নির্বাচনে আসতে পারেন কি না সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে সাধারণ জনগণ তাদের ভালো করেই জানে। কাজেই, নির্বাচনে আসা না আসা তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না।
⇘সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।