লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর ॥ জামালপুরের ইসলামপুর মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে আমন ধানের সোনালী শীষ। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে মুখে হাসি থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশার ছাপও রয়েছে তাতে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রয় ৯ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসলামপুর কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানায়, এ বছর উপজেলায় ৯ হাজার ৫‘শ ৮০ হেক্টর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিগন্ত জুড়ে সবুজ ধানক্ষেতে সোনালী শীষের আগমন শুরু হয়েছে। ধান ক্ষেতের দিকে তাকালে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এ বছর বন্যা না হওয়ায় ইসলামপুর উপজেলাতে আমন ধান চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে। যা উপজেলার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করতে সহায়ক হয়েছে বলে জানা যায়।
ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের গামারিয়া গ্রামের কৃষক আছাদুজ্জামান জানান, এ বছর বন্যা না হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রতিটি জমিতে আমন চাষ করেছে। ধানও হয়েছে বাম্পার কিন্তু দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচ নিয়ে হতাশ তারা।
চিনাডুলী ইউনিয়নের বড় দেলীরপাড় কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বন্যার জন্য খুব ভয়ে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে বন্যা না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন আশা করছি। তবে ধানের দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, বন্যা না হওয়ায় বন্যাকবলিত ইসলামপুর উপজেলায় এ বছর ব্যাপক হারে আমন চাষ হয়েছে এবং আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। মাঠের অবস্থা দেখে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
⇘সংবাদদাতা: লিয়াকত হোসাইন লায়ন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।