খুব শিঘ্রই মডেল জেলা হতে যাচ্ছে জামালপুর

S M Ashraful Azom
0
খুব শিঘ্রই মডেল জেলা হতে যাচ্ছে জামালপুর

সেবা ডেস্ক: বন্যাকবলিত জেলা হিসেবে পরিচিত হলেও উন্নয়নমুখী মানুষের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জামালপুর একটি মডেল জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জামালপুরের সুশীল সমাজ মনে করেন। 

সম্প্রতি দৈনিক জামালপুরের এক  অনুসন্ধানে এ কথা উঠে আসে। 

 একটি এলাকার উন্নয়ন অনেকটাই নির্ভর করে সে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। জামালপুর  জেলা শহরের সঙ্গে অন্যান্য উপজেলার দুরত্ব গড়ে প্রায় সমান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল।
অতীতে এ জেলাকে বন্যাকবলিত জেলা হিসেবে বিবেচনা করা হত। কিন্তু  জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ বন্যানিয়ন্ত্রিত বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় বন্যা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত।

জেলার ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে,  প্রতিটি গ্রাম পুলিশ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। যা অন্যান্য জেলায় এখনো শুরুই হয়নি। জেলা ওয়েব পোর্টাল নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে। জেলার প্রায় সমস্ত সেবাই এখন ঘরে বসে পাওয়া যায়।

এ বছর ২রা নভেম্বর  প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে  জামালপুরের ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ উপজেলায় শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল, মেলান্দহ উপজেলায় শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মাদারগঞ্জে শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ও জামালপুর জেলায় হাইটেক পার্ক। এসব  কাজ শেষ হলে  জামালপুর বাংলাদেশের উন্নত জেলাগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

জেলার পর্যটনের রয়েছে যথেষ্ট সম্ভাবনা।   জামালপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সার উৎপাদন কারখানা যমুনা ফার্টিলাইজার, প্রাকৃতিক নৈসর্গ্যমণ্ডিত লাউচাপড়া বিনোদন কেন্দ্র, জিল বাংলা চিনিকলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের মূল সদর দপ্তর ছিল জামালপুরের কামালপুরে।

জামালপুর জেলার পূর্বে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা, পশ্চিমে যমুনা নদী ও বগুডা জেলা, উত্তরে শেরপুর ও কুড়িগ্রাম এবং দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত।

২ হাজার ৩১ দশমিক ৯৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের জামালপুর ১৯৭৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয়।

বিভিন্ন সূত্র ও জেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে জানা যায়, দিল্লির মোঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬- ১৬০৫) হযরত শাহ জামাল (রহ.) নামে এক ধর্মপ্রচারক ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে ২০০ অনুসারী নিয়ে এ অঞ্চলে আসেন। পরবর্তীতে ধর্মীয় নেতা হিসাবে দ্রুত তিনি  প্রধান্য বিস্তার করেন। প্রচলিত রয়েছে হযরত শাহ জামাল (রহ.) এর নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় জামালপুর।

⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top