স্থানীয় জনগণ বিশেষত নারী, দরিদ্র ও বিপদাপন্ন জনগোষ্টি নিজেদের মধ্যকার বিরোধগুলো স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে, স্বল্প খরচে স্বচ্ছতার সাথে নিস্পত্তি করতে সে বিষয়ে গ্রামীণ জনগণের মাঝে কীভাবে গ্রাম আদালতের উপর জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় সে সর্ম্পকে আলোচনার জন্য সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন গ্রাম আদালত সর্ম্পকে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা সর্ম্পকে অবহিতকরণ কর্মশালা আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় কর্মশালাটি আজ ১৪ নভেমম্বর সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অবহিতকরণ কর্মশালায় সাতকানিয়া উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) দিপংকর তংচংগ্যা, কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়কণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর উজ্জল কুমার দাশ চৌধুরী, জেলা সমন্বয়কারী সাজেদুল আনোয়ার ভূঞা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা ব্লাস্ট এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ জানে আলম।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোট খাট বিরোধ কার্যকরভাবে নিস্পত্তি হচ্ছে। তিনি এই বিচারিক সেবার বার্তা উপজেলার সকল মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সবাইকে আহবান জানান। তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের অন্যতম অংশীজন হিসেবে সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রাম আদালত সর্ম্পকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
কর্মশালার মুলক আলোচক বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়কণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর উজ্জল কুমার দাশ চৌধুরী বলেন প্রান্তিক এলাকার জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র নারী ও অসহায় জনগোষ্ঠী যাতে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে কম সময়ে ও কম খরচে তাদের বিরোধ নিস্পত্তি করতে পারেনে এ জন্য আমাদের সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিচারিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তাবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম আদারত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প দেশের ২৭ টি জেলার ১০৮০ টি ইউনিয়নে কাজ করছে। চট্টগ্রাম জেলার ৫ টি উপজেলার ৪৬ টি ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
⇘সংবাদদাতা: ওয়াসিম হায়দার
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।