বকশিগঞ্জে ইউএনও-শিক্ষা অফিসারসহ১০ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট
রিট আবেদনে যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, কেন্দ্র কমিটির সদস্য উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী কেন্দ্র সচিব হাসিনা গাজী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এছাড়া তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব বরাবর অভিযোগ করেছেন।
রিট আবেদনকারী চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছর চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সভাপতি, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিব ও শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেনকে সদস্য করে ইউএনও স্বাক্ষরিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়। ওই কেন্দ্রে ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১হাজার ৬৭৩জন পরীক্ষার্থীর স্থানসংকুলান না হওয়ায় ইউএনও স্বাক্ষরিত আরো তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভেন্যু কেন্দ্র করা হয়।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর জেএসসি’র বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভেন্যু কেন্দ্র হাসিনা গাজী উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে তিনজন শিক্ষককে ভূয়া শিক্ষক বলে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ইউএনও। একই সময় দায়িত্বে অবহেলার কথা জানিয়ে কেন্দ্র সচিব ও চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে ২০ দিনের কারাদন্ড অনাদায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে তাকে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। পরে এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা থেকে কক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি মূল কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। কেদ্র পরিচালনার দায়িত্ব ওই কেন্দ্রের দয়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিবের উপর বত্যায়। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অন্যায়ভাবে এই দন্ড প্রদান করেছেন ইউএনও। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্ন ও আমাকে দোষী বানানো হয়েছে। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভূয়া তিন শিক্ষককে কারাদন্ড ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবকে জরিমানা ও দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন কেউ আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করতেই পারে। অভিযোগ করলেই যে তা সত্য হবে তা নয়। অভিযোগ দিলে জবাব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
রিট আবেদনকারী চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছর চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র করা হয়। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সভাপতি, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিব ও শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেনকে সদস্য করে ইউএনও স্বাক্ষরিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়। ওই কেন্দ্রে ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১হাজার ৬৭৩জন পরীক্ষার্থীর স্থানসংকুলান না হওয়ায় ইউএনও স্বাক্ষরিত আরো তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভেন্যু কেন্দ্র করা হয়।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর জেএসসি’র বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভেন্যু কেন্দ্র হাসিনা গাজী উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে তিনজন শিক্ষককে ভূয়া শিক্ষক বলে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ইউএনও। একই সময় দায়িত্বে অবহেলার কথা জানিয়ে কেন্দ্র সচিব ও চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে ২০ দিনের কারাদন্ড অনাদায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে তাকে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। পরে এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা থেকে কক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি মূল কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। কেদ্র পরিচালনার দায়িত্ব ওই কেন্দ্রের দয়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিবের উপর বত্যায়। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অন্যায়ভাবে এই দন্ড প্রদান করেছেন ইউএনও। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্ন ও আমাকে দোষী বানানো হয়েছে। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভূয়া তিন শিক্ষককে কারাদন্ড ও দায়িত্বে অবহেলার জন্য কেন্দ্র সচিবকে জরিমানা ও দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন কেউ আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করতেই পারে। অভিযোগ করলেই যে তা সত্য হবে তা নয়। অভিযোগ দিলে জবাব দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।