সিসি ক্যামেরায় মূল ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম-বাঁশখালী-আনোয়ারা সড়কের শঙ্খ নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল প্লাজায় একজন বিচারকের বাসার আসবাবপত্রবাহী ট্রাক আটক করে চাঁদা দাবী, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও আদালতে কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ এনে টোল প্লাজায় কর্মরত কর্মকর্তা ও মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনে টোল প্লাজার সিসি ক্যামরা এখন রাজ সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত রবিবার রাত ৯ টা ৪১ মিনিটের সিসি ক্যামরায় দেখা যায় বান্দরবানের লামার বিচারিক হাকিম আলী আক্কাসের আদালতের কর্মচারী (স্টোনো টাইপিস্ট) মিজবাহ উদ্দিনের সাথে টোল আদায়কারীদের সাথে টোল নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি বিচারকের পরিচয় প্রদান করিলে টোল আদায়কারী তাকে টোল অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। সেখানে পরিচয় প্রদান করে নির্বিঘ্নে সেতু পার হয়ে গন্তব্যস্থলে চলে যান ওই বিচারকের কর্মচারী ও আসবাবপত্র বোঝাই গাড়ী। তাছাড়া সিসি ক্যামরায় অস্ত্র কিংবা জোর পূর্বক টোল আদায় বা ছিনতাইয়ের কোন দৃশ্য দেখা যায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএফআর এন্টারপ্রাইজের পক্ষ হতে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সিসি ক্যামরার ডকুমেন্টসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের স্মরণাপন্ন হন।
এ সময় টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে রুপম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সেতুর টোল নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। ষড়যন্ত্রটি পরবর্তীতে রাজনৈতিক রূপ নেয়। সেই থেকে সেতুর টোল আদায় নিয়ে বিভিন্ন সরকারি রাজস্ব না দিতে চক্রান্ত করে আসছিল কিছু মহল। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বিচারকের মালবাহী গাড়ি হতে ছিনতাই বা মারধরের কোন ধরনের ঘটনা না ঘটলেও সেতুর টোল আদায়ের বিপক্ষের লোকজনের সাথে আঁতাত করে একটি মিথ্যা মামলায় সবাইকে ফাঁসানো হয় বলে জানান। তিনি আরো জানান, ঘটনার সত্যতা জানানোর নিমিত্তে ওই দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই মূল ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হবে।
⇘সংবাদদাতা: বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।