![সাংবাদিক মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Fake cases against journalist Mizan](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguV2ULD5B62aFr6onfGYT7osWCDD3QNmK-ZsD-dIIEHrwajbBZnXxuE-ID0PQUapq8BSOs62Vvmph2ufUB2IhXX3bb4b8y-CnoZ-pdS2CNUC2TAS1RKW93J6zwRChhhB8kNGgcjGGwI4I/s1600-rw/FB_IMG_1537438966323.jpg)
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদরাসাটি পীরে কামেল মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ আলী সাহেব তার নিজের বাবার কাছ থেকে উত্তোরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ও নিজ ক্রয়কৃত, বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির দানকৃত সর্বমোট সাড়ে ৩ কানি জমির উপর ১৯২৮ সালে এলাকায় দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টায় মাদরাসাটি প্রতিষ্টা করে। প্রতিষ্টার বছর থেকে ১৯৪০ ইংরেজি পর্যন্ত সময় ধরে মাদরাসার পরিচালকে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এরপর ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত মরহুম মাওলানা সাইফুল হক সাহেব মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫ সালের শেষে পুনরায় মাদরাসার প্রতিষ্টাতা ও মতোয়াল্লী মরহুম মাওলানা মোহাম্মাদ আলী ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একটানা ২৬ বছর দায়িত্ব পালন কালে বৃদ্ধাবস্থায় উক্ত মাদরাসার মতোয়াল্লীর দায়ীত্ব প্রদান করেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস) তৎকালিন চেয়ারম্যান আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক যুগশ্রেষ্ট আলেমেদ্বীন মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা হাজ্বী ইউনুছ (রাহঃ) কে রেজিষ্ট্রি করে মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
১৯৬৯ সালে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব হুজুর মরহুম মাওলানা খাইর উদ্দীন সাহেবকে পরিচালকের দায়ীত্ব দেন। তিনি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। মরহুম মাওলানা খাইর উদ্দীন সাহেব স্বীয় বার্ধক্যজনিত অপরাগতার কথা মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব কতৃক জানালে ১৯৮১ সালে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত মরহুম মাওলানা নছরত আলী সাহেবকে দায়ীত্ব দেন। পরবর্তীতে তার অপরাগতায় ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত মাওলানা নুরুল হক সুজিত সাহেব মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালের দিকে মতোয়াল্লী হাজ্বী ইউনুছ সাহেব হুজুর ৭ম পরিচালক হিসেবে মাদরাসটির দায়িত্ব হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবকে। তিনি ১৯৮৯ সালে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেবকে মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায় এবং বিভিন্ন অভিযোগের কারণে মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবকে অনিয়মের কারণ দর্শাতে তৎকালিন কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের প্যাডে নোটিশ প্রেরন করে। তখন পরিচালক উক্ত নোটিশের কোন জবাব না দেওয়ায় এবং একক সিদ্ধান্তে মাদরাসা পরিচালনার একচেটিয়া কতৃত্ব প্রতিষ্টা করার কারণে নোটিশে স্পর্ট ভাষায় লিখা আছে মাদরাসাটি আমি আমার পরবর্তী কালে মাদরাসার প্রতিষ্টাতার পুত্র আমার মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের সাহেবকে জলদী মাদরাসার মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
পরবর্তীতে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব হুজুর মারা যাওয়ার পূর্বে লিখিতভাবে স্টাম্পে মাদরাসার প্রতিষ্টাতার ৩য় পুত্র লন্ডন মসজিদুল আবরার জামে মসজিদের খতিব, আল জামিয়াতুল আরবিয়া মদিনাতুল উলুম রাউজান দেওয়ানপুর মাদরাসার সাবেক মোহতামিম, সিএমবি আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া তানজিমুল উম্মাহ মাদরাসা সহ অসংখ্য মসজিদ মাদরাসার মোহতামিম মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের সাহেব কে জলদী মখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদরাসার মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
১৯৮৬ সাল থেকে হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সুন্দরভাবে মাদরাসাটি পরিচালনা করে। ২০১১ সালের দিকে এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কওমী মাদরাসা বোর্ড এবং বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে অত্র বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার গণ্যমান্য সমাজ প্রতিনিধি সহ ৩/৪ শ জন লোক হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুরের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ পেশ করলে তিনি ২০১১ সালের ২০ ফ্রেরুয়ারী জলদী বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসায় এক জরুরী বৈঠক ও মজলিশে শুরার আহবান করে। উক্ত শুরায় ৪/৫ শ লোকের উপস্থিতে বাঁশখালীর সকল মাদরাসার পরিচালকগণ, শুরার সদস্য, বাঁশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র , সাবেক মেয়র, কাউন্সিলর, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সকলের উপস্থিতে উক্ত বৈঠকে রেজুলেশন হয়।
পরবর্তীতে মাদরাসার বর্তমান পরিচালক মাওলানা আব্দুস সোবহানের লিখিত দস্তখতের মাধ্যমে কওমী মাদরাসা বোর্ড চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লাম শাহ আহমদ শফী সাহেব (মাঃজিঃ) কে পরিচালকের দায়িত্ব অর্পন করেন। এদিকে মাওলানা আব্দু সোবহান মাদরাসার হিসাবপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে বিদেশ চলে যান। ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারী মাদরাসার হোস্টেলের খাবার বন্ধ হয়ে গেলে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করলে তৎকালীন ইউএনও, ওসি ও মেয়র সকলে মাদরাসা পরিদর্শন করে এবং তারা বিষয়টি কওমী মাদরাসা বোর্ড কে অবিহিত করে। পরবর্তীতে কওমী মাদরাসা বোর্ডের প্রধানের কাছে থাকা পরিচালকের দায়িত্বটা সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ তৈয়ব সাহেবকে পরিচালক নিযুক্ত করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, মেয়র সকলে আবারো পুনরায় বৈঠক বসে হাফেজ তৈয়ব কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য রেজুলেশন হয়।
পরবর্তী বাহারউল্লাহ পাড়া ৩ সমাজের ৩১ জন সদস্য বিশিষ্ট সর্দারগণ পুনরায় হাফেজ তৈয়ব কে পরিচালকের দায়িত্বে অটল রাখেন। আবারো প্রসাশনের পক্ষ থেবে বলা হয় আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ পটিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে। পরে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস পটিয়া মাদরাসার পরিচালক আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী সংসদ সদস্য, ইউএনও, ওসি ও মেয়র সহ বাঁশখালীর সকল কওমী মাদরাসার পরিচালক সহ এলাকাবাসীকে অবহিত করে মজলিশে শুরায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করে। ২ মে ২০১৪ সালে জলদী মাদরাসায় মজলিশে শুরায় এলাকার হাজার হাজার জনগন ও জনপ্রতিনিধি, মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর সহ বাঁশখালীর সকল মাদরাসা পরিচালকগণের উপস্থিতিতে আবারো হাফেজ তৈয়ব সাহেব কে মাদরাসার পরিচালক নিযুক্ত করে। হাফেজ তৈয়বকে রাতের আধারে মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর দাতা ও প্রতিষ্টাতা সদস্য (মোতয়াল্লী) মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ আলীর পুত্র মাওলানা আবু তাহের এর শাহজাদা সাংবাদিক মিজান বিন তাহের বাদী হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন কতৃপক্ষ। পরে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তৎকালিন সাতকানিয়া সার্কেল ও বর্তমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইমরান ভূইয়াকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টা তদন্ত করে সেখানেও হাফেজ তৈয়ব সাহেবকে নতুন পরিচালক বলে প্রতিবেদন দেন।
সর্বশেষ গত ১২ জুলাই ২০১৮ ইংরেজী জলদী মাদরাসার অফিস কক্ষে মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিবার ও দাতা পরিবার, মাদরাসার মতোয়াল্লী সহ, কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফির নির্দেশে সকলের লিখিত দস্তখতের মাধ্যমে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি (প্রতিষ্টাতা পরিবারের পুত্র মাওলানা হাসান সাহেব, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে পীরে কামেল চাম্বল দারুল উলুম মাদরাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল, মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবের পুত্র মাওলানা আব্দুর রহমানকে মাদরাসার সকল প্রকার হিসাব নিকাশ আগামী ৬ মাসের মধ্যে মাদরাসা ফান্ডে বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন।
সম্প্রতি এই মাদরাসা পরিচালনায় নানা দূর্নীতি ও নিয়ম বহিঃর্ভূত কাজের কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে দ্বীনি প্রতিষ্টানটি। শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়া মাদরাসার ঐতিহ্য পূনরুদ্ধারে কাজ করেন মিজান বিন তাহের। কিন্তু সাবেক মোহতামিম সাহেবের কন্যা মাদরাসার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মাদরাসার ধারাবাহিক কাজে স্তবিরতা আনেন। এসব বিষয়ে চলমান সংকট নীরসনে কাজ করলে তাকে স্তব্দ করে দিতে তার বিরুদ্ধে ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা। যে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এই মামলায় ভিকটিম দেখা হয়েছে ফাতেমা বেগম পিতা মনজুর আলী, তসলিমা বেগম পিতা মৃত ফয়েজ আহমদ। তাদের সুনিদিষ্ট ওয়ার্ড বা পাড়ার কোন ঠিকানা উল্লেখ নাই। সাক্ষী দেখানো হয়েছে রহিমা বেগম পিতা আলমগীর, ইয়াছমিন কলি পিতা মৃত এয়াকুব মাতব্বর, মনছুর আলী গোলাম রহমান, আলমগীর পিতা মৃত হাজী রশিদ আহমদ, তাদেরও কোন নাম ঠিকানা নাই।
পরবর্তীতে চলতি বছর জলদী মখজনুল উলুম মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্ব যখন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব হুজুরকে অর্পণ করা হল, সেই থেকে আবারো ২টি মামলা সহকারী জজ বাঁশখালী আদালতে করেছে। অপর মামলা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বাঁশখালীতে দায়ের করে। একটিতে আসামী করা হয়েছে বাঁশখালীর সর্বজন শ্রদ্বেয় আলেমেদ্বীন চাম্বল মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল ও আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক যুগশ্রেষ্ট আলেমে দ্বীন মরহুম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাজ্বী ইউনুছ (রাহঃ) সুযোগ্য দুই পুত্র পটিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা জাহেদ উল্লাহ সাহেব, মোজাম্মেল হক সাহেব ও মিজান বিন তাহের সহ বাঁশখালীর আরো ৪/৫ জন মোহতামিম কে আসামী করে মামলা দায়ের করে মাদরাসার এতিম ছেলে মেয়েদের টাকা আত্মসাৎকারী ওই মহিলা।
এদিকে মতোয়াল্লী পুত্র সাংবাদিক মিজান বিন তাহের এর বিরোদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করায় এলাকার সাধারণ জনগণ ও মাদরাসার শুভাকাঙ্ক্ষীগণ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
⇘সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
এরপর ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত মরহুম মাওলানা সাইফুল হক সাহেব মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫ সালের শেষে পুনরায় মাদরাসার প্রতিষ্টাতা ও মতোয়াল্লী মরহুম মাওলানা মোহাম্মাদ আলী ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একটানা ২৬ বছর দায়িত্ব পালন কালে বৃদ্ধাবস্থায় উক্ত মাদরাসার মতোয়াল্লীর দায়ীত্ব প্রদান করেন বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস) তৎকালিন চেয়ারম্যান আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক যুগশ্রেষ্ট আলেমেদ্বীন মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা হাজ্বী ইউনুছ (রাহঃ) কে রেজিষ্ট্রি করে মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
১৯৬৯ সালে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব হুজুর মরহুম মাওলানা খাইর উদ্দীন সাহেবকে পরিচালকের দায়ীত্ব দেন। তিনি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। মরহুম মাওলানা খাইর উদ্দীন সাহেব স্বীয় বার্ধক্যজনিত অপরাগতার কথা মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব কতৃক জানালে ১৯৮১ সালে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত মরহুম মাওলানা নছরত আলী সাহেবকে দায়ীত্ব দেন। পরবর্তীতে তার অপরাগতায় ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত মাওলানা নুরুল হক সুজিত সাহেব মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালের দিকে মতোয়াল্লী হাজ্বী ইউনুছ সাহেব হুজুর ৭ম পরিচালক হিসেবে মাদরাসটির দায়িত্ব হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবকে। তিনি ১৯৮৯ সালে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেবকে মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায় এবং বিভিন্ন অভিযোগের কারণে মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবকে অনিয়মের কারণ দর্শাতে তৎকালিন কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের প্যাডে নোটিশ প্রেরন করে। তখন পরিচালক উক্ত নোটিশের কোন জবাব না দেওয়ায় এবং একক সিদ্ধান্তে মাদরাসা পরিচালনার একচেটিয়া কতৃত্ব প্রতিষ্টা করার কারণে নোটিশে স্পর্ট ভাষায় লিখা আছে মাদরাসাটি আমি আমার পরবর্তী কালে মাদরাসার প্রতিষ্টাতার পুত্র আমার মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের সাহেবকে জলদী মাদরাসার মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
পরবর্তীতে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব হুজুর মারা যাওয়ার পূর্বে লিখিতভাবে স্টাম্পে মাদরাসার প্রতিষ্টাতার ৩য় পুত্র লন্ডন মসজিদুল আবরার জামে মসজিদের খতিব, আল জামিয়াতুল আরবিয়া মদিনাতুল উলুম রাউজান দেওয়ানপুর মাদরাসার সাবেক মোহতামিম, সিএমবি আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া তানজিমুল উম্মাহ মাদরাসা সহ অসংখ্য মসজিদ মাদরাসার মোহতামিম মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের সাহেব কে জলদী মখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদরাসার মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
১৯৮৬ সাল থেকে হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সুন্দরভাবে মাদরাসাটি পরিচালনা করে। ২০১১ সালের দিকে এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কওমী মাদরাসা বোর্ড এবং বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে অত্র বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার গণ্যমান্য সমাজ প্রতিনিধি সহ ৩/৪ শ জন লোক হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুরের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ পেশ করলে তিনি ২০১১ সালের ২০ ফ্রেরুয়ারী জলদী বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসায় এক জরুরী বৈঠক ও মজলিশে শুরার আহবান করে। উক্ত শুরায় ৪/৫ শ লোকের উপস্থিতে বাঁশখালীর সকল মাদরাসার পরিচালকগণ, শুরার সদস্য, বাঁশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র , সাবেক মেয়র, কাউন্সিলর, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সকলের উপস্থিতে উক্ত বৈঠকে রেজুলেশন হয়।
পরবর্তীতে মাদরাসার বর্তমান পরিচালক মাওলানা আব্দুস সোবহানের লিখিত দস্তখতের মাধ্যমে কওমী মাদরাসা বোর্ড চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লাম শাহ আহমদ শফী সাহেব (মাঃজিঃ) কে পরিচালকের দায়িত্ব অর্পন করেন। এদিকে মাওলানা আব্দু সোবহান মাদরাসার হিসাবপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে বিদেশ চলে যান। ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারী মাদরাসার হোস্টেলের খাবার বন্ধ হয়ে গেলে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করলে তৎকালীন ইউএনও, ওসি ও মেয়র সকলে মাদরাসা পরিদর্শন করে এবং তারা বিষয়টি কওমী মাদরাসা বোর্ড কে অবিহিত করে। পরবর্তীতে কওমী মাদরাসা বোর্ডের প্রধানের কাছে থাকা পরিচালকের দায়িত্বটা সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ তৈয়ব সাহেবকে পরিচালক নিযুক্ত করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, মেয়র সকলে আবারো পুনরায় বৈঠক বসে হাফেজ তৈয়ব কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য রেজুলেশন হয়।
পরবর্তী বাহারউল্লাহ পাড়া ৩ সমাজের ৩১ জন সদস্য বিশিষ্ট সর্দারগণ পুনরায় হাফেজ তৈয়ব কে পরিচালকের দায়িত্বে অটল রাখেন। আবারো প্রসাশনের পক্ষ থেবে বলা হয় আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ পটিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে। পরে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস পটিয়া মাদরাসার পরিচালক আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী সংসদ সদস্য, ইউএনও, ওসি ও মেয়র সহ বাঁশখালীর সকল কওমী মাদরাসার পরিচালক সহ এলাকাবাসীকে অবহিত করে মজলিশে শুরায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করে। ২ মে ২০১৪ সালে জলদী মাদরাসায় মজলিশে শুরায় এলাকার হাজার হাজার জনগন ও জনপ্রতিনিধি, মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর সহ বাঁশখালীর সকল মাদরাসা পরিচালকগণের উপস্থিতিতে আবারো হাফেজ তৈয়ব সাহেব কে মাদরাসার পরিচালক নিযুক্ত করে। হাফেজ তৈয়বকে রাতের আধারে মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর দাতা ও প্রতিষ্টাতা সদস্য (মোতয়াল্লী) মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ আলীর পুত্র মাওলানা আবু তাহের এর শাহজাদা সাংবাদিক মিজান বিন তাহের বাদী হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন কতৃপক্ষ। পরে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তৎকালিন সাতকানিয়া সার্কেল ও বর্তমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইমরান ভূইয়াকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টা তদন্ত করে সেখানেও হাফেজ তৈয়ব সাহেবকে নতুন পরিচালক বলে প্রতিবেদন দেন।
সর্বশেষ গত ১২ জুলাই ২০১৮ ইংরেজী জলদী মাদরাসার অফিস কক্ষে মাদরাসার প্রতিষ্টাতা পরিবার ও দাতা পরিবার, মাদরাসার মতোয়াল্লী সহ, কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফির নির্দেশে সকলের লিখিত দস্তখতের মাধ্যমে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি (প্রতিষ্টাতা পরিবারের পুত্র মাওলানা হাসান সাহেব, বাঁশখালী কওমী মাদরাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে পীরে কামেল চাম্বল দারুল উলুম মাদরাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল, মাদরাসার সাবেক মুহতামিম মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবের পুত্র মাওলানা আব্দুর রহমানকে মাদরাসার সকল প্রকার হিসাব নিকাশ আগামী ৬ মাসের মধ্যে মাদরাসা ফান্ডে বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন।
সম্প্রতি এই মাদরাসা পরিচালনায় নানা দূর্নীতি ও নিয়ম বহিঃর্ভূত কাজের কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে দ্বীনি প্রতিষ্টানটি। শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়া মাদরাসার ঐতিহ্য পূনরুদ্ধারে কাজ করেন মিজান বিন তাহের। কিন্তু সাবেক মোহতামিম সাহেবের কন্যা মাদরাসার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মাদরাসার ধারাবাহিক কাজে স্তবিরতা আনেন। এসব বিষয়ে চলমান সংকট নীরসনে কাজ করলে তাকে স্তব্দ করে দিতে তার বিরুদ্ধে ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা। যে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এই মামলায় ভিকটিম দেখা হয়েছে ফাতেমা বেগম পিতা মনজুর আলী, তসলিমা বেগম পিতা মৃত ফয়েজ আহমদ। তাদের সুনিদিষ্ট ওয়ার্ড বা পাড়ার কোন ঠিকানা উল্লেখ নাই। সাক্ষী দেখানো হয়েছে রহিমা বেগম পিতা আলমগীর, ইয়াছমিন কলি পিতা মৃত এয়াকুব মাতব্বর, মনছুর আলী গোলাম রহমান, আলমগীর পিতা মৃত হাজী রশিদ আহমদ, তাদেরও কোন নাম ঠিকানা নাই।
পরবর্তীতে চলতি বছর জলদী মখজনুল উলুম মাদরাসার পরিচালকের দায়িত্ব যখন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফি সাহেব হুজুরকে অর্পণ করা হল, সেই থেকে আবারো ২টি মামলা সহকারী জজ বাঁশখালী আদালতে করেছে। অপর মামলা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বাঁশখালীতে দায়ের করে। একটিতে আসামী করা হয়েছে বাঁশখালীর সর্বজন শ্রদ্বেয় আলেমেদ্বীন চাম্বল মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল ও আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক যুগশ্রেষ্ট আলেমে দ্বীন মরহুম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাজ্বী ইউনুছ (রাহঃ) সুযোগ্য দুই পুত্র পটিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা জাহেদ উল্লাহ সাহেব, মোজাম্মেল হক সাহেব ও মিজান বিন তাহের সহ বাঁশখালীর আরো ৪/৫ জন মোহতামিম কে আসামী করে মামলা দায়ের করে মাদরাসার এতিম ছেলে মেয়েদের টাকা আত্মসাৎকারী ওই মহিলা।
এদিকে মতোয়াল্লী পুত্র সাংবাদিক মিজান বিন তাহের এর বিরোদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করায় এলাকার সাধারণ জনগণ ও মাদরাসার শুভাকাঙ্ক্ষীগণ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অভিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
⇘সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।