আলোচনায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া

S M Ashraful Azom
0
আলোচনায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া
ব্যারিস্টা বিপ্লব বড়ুয়া

ওয়াসিম হায়দার: আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৮০ জনই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন; শুধু নিলেন না উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বর্তমান মন্ত্রী-সাংসদদের বাইরে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা বেশির ভাগই বয়সে তরুণ। যাদের বড় অংশ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। ব্যবসায়ীও আছেন অনেকে। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রাপ্তির এই দৌড়ে দলের লোকজনের পাশাপাশি ক্রীড়াবিদ, অভিনয়শিল্পী, সামরিক-বেসামরিক সাবেক আমলারাও আছেন।

এমন অবস্থায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিপ্লব বড়ুয়া মনোনয়ন আশা করতেই পারেন। কিন্তু তাঁর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ না করার বিষয়টি নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোন্দল একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। কেউ মনোনয়ন চাইলে একই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের বিরাগভাজন হতে হচ্ছে, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ঘটনাও ঘটছে। এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য বিপ্লব বড়ুয়া মনোনয়ন চাননি হয়তো। সবচেয়ে বড় বিষয় নির্বাচনের জন্য এখনো নিজেকে প্রস্তত ভাবছেন না নতুন প্রজন্মের এই নেতা।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, দুটি কারণে আমি মনোনয়ন ফরম নিইনি৷ প্রধানমন্ত্রী আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রেখেছেন। এটা অনেক বড় সম্মান ও স্বীকৃতির ব্যাপার। নির্বাচন তারাই করতে পারে যাদের প্রবল জনভিত্তি আছে। আমার আসনে (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে এমপি হবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। ওনারা আমার অনেক সিনিয়র।

সবাই যদি নির্বাচন করে, তাহলে নির্বাচন পরিচালনার কাজ করবে কারা? কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সবাই নির্বাচন করবেন। এসময় দলীয় কার্যালয়ে অনেক কাজ থাকবে। এই কাজগুলো করার জন্য তো লোকজন দরকার।

আমাদের দেশে এক ব্যক্তি একাধিক পজিশন ভোগ করেন। এমপিও থাকেন, মন্ত্রীও থাকেন দলের নেতাও থাকেন। দলে অনেক যোগ্য লোক রয়েছেন। আমরা প্রতিটি জায়গায় যোগ্য লোকদের বসাতে চাই।

এক লোক যে সব কিছু পাবে, সব কিছু খাবে তা আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। এসব কারণে আমি মনোনয়ন নিইনি। বলেন বিপ্লব বড়ুয়া।

তবে তিনি নিজে ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, ডা. রোকেয়া সুলতানা মনোনয়ন নেননি বলেন জানান ব্যারিস্টার বিপ্লব।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুনীল কান্তি বড়ুয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেয়া বিপ্লব বড়ুয়া যুক্তরাজ্যের উল্ভারহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স (পিজিডিএল), যুক্তরাজ্যের কল টু দ্যা বার ‘দ্যা অনারেবল সোসাইটি অব গ্রেস ইন’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালি বৌদ্ধদের মধ্যে সর্বপ্রথম এবং একমাত্র ব্রিটিশ কোয়ালিফাইড ব্যারিস্টার।

ছাত্রজীবনে সক্রিয় ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাতকানিয়া থানা ছাত্রলীগের এডহক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এমনকি দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বিপ্লব বড়ুয়া। ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য।

২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট ঘোষিত আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে চট্টগ্রামের লোহাগড়ার কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে সদস্য ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তরুণ এই নেতাকে পদোন্নতি দিয়ে উপ দপ্তর সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
⇘সংবাদদাতা: ওয়াসিম হায়দার
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top