লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি॥ আবহমান বাংলাদেশে দেখতে দেখতেই আবারো চলে এলো শীতের হাওয়া। শীত যতই ঘনিয়ে আসছে লেপের দোকান গুলোতে ততই মানুষের ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর শীতকে মোকাবেলায় মানুষের সেবা দিতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে জামালপুরের ইসলামপুরের লেপ তোষক কারিগররা।
সরেজমিনে,ইসলামপুর শহরের লেপ তোষকের দোকান গুলোতে কারিগররা একটার পর একটা লেপ তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কথা বলার সময় নেই তাদের। ইসলামপুর বাজারের সামিউল বেডিং হাউসে মালিক আসলাম মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, কয়েকদিন থেকে বেশি শীত পড়ায় মানুষ ঝুকছে শীতবস্ত্রের প্রতি। প্রতিদিন আমার এখান থেকে ১০থেকে ১২টা লেপ তোষকের অর্ডার হয়ে থাকে। তবে এ বছর কাপড় ও তোলার দাম বৃদ্ধি হওয়ায় খরচ একটু বেশী হচ্ছে।
আমাদের এখানে শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা,কাপাস তুলা ২০০ থেকে ২৫০টাকা, গার্মেন্টেসের তোলা ৬ থেকে ১০০টাকা। আবার কাপড়ের দাম ৬০থেকে ৮০টকা। সব মিলিয়ে একটি লেপ বানাতে ১হাজার থেকে ১৮শত টাকা পড়ে যায়। আবার একটু উন্নতমানের বানাতে গেলে খরচ বেশী পড়ে।
কারিগর আঃ রহিম বলেন, একটি লেপ বানালে ২০০থেকে ২৫০টাক পাই। এখনতো তেমন শীত পড়েনি,তবে শীত বেশী পড়লে দম ফেলার সময় আমাদের থাকেন।
রাব্বী বেডিং স্টোরের স্বত্তাধিকারী রবিউর ইসলাম বলেন, সারা বছর আমাদের তেমন ব্যবসা হয়না। শীতের সময় একটু ব্যবসা ভাল হয়। শীতের শুরুতেই লেপ বেশ ভালই বিক্রি হয়।
উপজেলা গুঠাইল বাজারের মালেক লেপ তোষকের দোকান মালিক আলমাস শেখ বলেন, যতগুড় তত মিষ্টি। আমাদের এখানে লেপ বানাতে ৮শত টাকা থেকে শুরু হয়ে উপরে ২হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।
এবারের বিক্রির কথা জানতে চাইলে বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার তেমন শীত এখনো না পড়ায় বিক্রি একটু কম হলেও সময় তো পাইতেছিনা। তবে দ্রুত আমাদের বিক্রি আরো বাড়বে বলে আমরা মনে করছি।
গুঠাইল বাজারে বেডিং ষ্টোরে লেপ ও তোষক বানাতে আসা দম্পত্তি ক্রেতা হেলাল উদ্দিন ও আয়েশা বেগম জানান, এখনো তেমন একটা শীত পড়েনি, অনেক আগে লেপ বানিয়ে ছিলাম, সেটার তুলা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আগের তুলা আর নতুন তুলা মিশিয়ে নতুন করে নেপ বানাবের আইছি।
⇘সংবাদদাতা: লিয়াকত হোসাইন লায়ন
⇘সংবাদদাতা: লিয়াকত হোসাইন লায়ন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।