সেবা ডেস্ক: সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’। যার কারনে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকলেও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামী ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ এ আর অংশগ্রহণ করতে পারছে না এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
তাদের নিবন্ধন বাতিলের সাথে সাথেই কিন্তু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে না জামায়াতে ইসলামী কিংবা জামায়াতের সমর্থকগোষ্ঠী। এক্ষেত্রে, নতুন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন জামায়াতের বর্তমান নেতারা। দলগতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে নিষিদ্ধ হলেও এবার তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কিংবা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে চান।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কাছ থেকে জামায়াত আসন চেয়েছে ৪০টি। জামায়াতের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা খুবই করুণ। সিনিয়র নেতারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত। এ অবস্থায় তারা আসন পাবে কিনা? কিংবা বিএনপি তাদের ৪০টি আসন দেবে কিনা? সেটাও বিবেচনার বিষয়।
আর ইচ্ছে থাকলেও জামায়াতকে এতগুলো আসন ছেড়ে দিতে পারবে না বিএনপি। এর একটি কারণ হলো, বিএনপির যদি ২০ দলীয় জোটের মধ্যে শুধু জামায়াতকেই ৪০টি আসন ছেড়ে দেয় তাহলে বাকী দলগুলোকে গড়ে পাঁচটি করে আসন দিলেও ১০০টি আসন দিতে হবে। তাহলে, বিএনপি বাদে জোটের বাকী ১৯ দলকেই দিতে হচ্ছে ১৩০টি আসন।
এরই মধ্যে আবার বিএনপি নতুন করে জোট করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে। এই জোটের দলগুলোকেও এভাবে আসন দিলে বিএনপির জন্য আর একটি আসনও বাকী থাকবে না।
অন্যদিকে, বিএনপি এখন ড. কামাল হোসেনের সাথে জোট করে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামে যে নতুন জোট করেছে, সেখানেও তাদের মধ্যে জামায়াত নিয়ে আছে বেশ মতবিরোধ । জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বেশকিছু নেতা প্রকাশ্যে জামায়াত বিরোধী। জামায়াতকে ৪০টি আসন দেবার বিষয়ে তারাও ছাড় দিবেন কিনা সেটাও বিএনপিকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
জামায়াত নেতারা এ ব্যাপারে পুরোপুরি ছাড় দিতে নারাজ। তারা ড. কামালের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সমর্থন করে। এমনকি তাদের যদি জোটে নাও রাখে তাহলেও তাদের আপত্তি নেই। তারা শুধু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছে কিছু আসন দাবি করছে। তাদের প্রত্যাশা ৪০টি আসন।
এখন দেখার বিষয় হলো বিএনপি কি যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে প্রমাণিত স্বাধীনতাবিরোধী এই সংগঠনটিকে সাথে রেখে আবারো ভুল করবে? আবারো কি তারা তরুণ প্রজন্মের ভোট হারাবে?
কিছু আসনের জন্য উগ্র ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক এই দলটির দায়ভার বিএনপি নিবে কিনা? সেটা নিয়ে জনমনে কৌতুহল থেকেই যাচ্ছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
এখন দেখার বিষয় হলো বিএনপি কি যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে প্রমাণিত স্বাধীনতাবিরোধী এই সংগঠনটিকে সাথে রেখে আবারো ভুল করবে? আবারো কি তারা তরুণ প্রজন্মের ভোট হারাবে?
কিছু আসনের জন্য উগ্র ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক এই দলটির দায়ভার বিএনপি নিবে কিনা? সেটা নিয়ে জনমনে কৌতুহল থেকেই যাচ্ছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।