তিন যুগের অধিক সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে থাকা খালেদা জিয়া অষ্টম শ্রেনী পাশ। বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানকারী হিসেবে পরিচিত দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেও উচ্চা শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে পারেননি। আধুনিক রাজনীতিতে শিক্ষা যে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ সেটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
যার কারণেই আজ বিএনপির এই দশা। তারেক রহমানের মুর্খতা ও অল্পশিক্ষার বাহাদুরির কারণে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অনেকগুলো দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত নেয় যার কারণে পরবর্তীতে দলটির জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায় নেমে আসে। জানা গেছে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটান।
খালেদা জিয়া অনেক চেষ্টা করেও তাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন। সরকারি অনুদান পেয়েও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সফল হতে পারেননি তারেক। বরং উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজীতে অতি উৎসাহি ছিলেন তারেক। শিক্ষা জীবন থেকেই চুরি-দুর্নীতি হাতে কলমে শিক্ষা লাভ করেন তারেক রহমান। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বদলে অপরাজনীতির শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন তিনি।
প্রকৃত শিক্ষার অভাবে তারেক রহমান জনবান্ধব রাজনীতি শিখতে পারেননি। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, শিক্ষার অভাব মানুষকে যে সারা জীবন ভোগান্তিতে ফেলে দেয় সেটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তারেক। উচ্চ শিক্ষা তথা প্রকৃত শিক্ষা লাভ না করায় বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশ ও জাতির চিন্তা না করেই শুধুমাত্র টাকার লোভে দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অস্তানা হিসেবে গড়ে তুলতে দ্বিধাবোধ করেননি তারেক।
এক জন শিক্ষিত, সচেতন রাজনীতিবিদ কখনই তার দেশকে অন্যের কাছে বিক্রি করবেন না, যেটি করেছেন তারেক রহমান। মা খালেদা জিয়া অশিক্ষিত, ছেলে তার চেয়েও বড় গণ্ডমুর্খ ও অশিক্ষিত। এরকম অল্প শিক্ষিত, আধা-শিক্ষিত, অসচেতন, মুর্খ রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের উন্নয়নকে পিছিয়ে দিতে বেশ পারদর্শী। এদের দ্বারা দেশ ও দেশের জনগণের কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এমন অল্প-শিক্ষিত, মুর্খ ও জ্ঞানপাপী রাজনীতিবিদ হতে সকলকে সাবধান হওয়া উচিৎ।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক