সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেকে বাংলাদেশে অনিরাপদ দাবি করার নিমিত্তে এই বই প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নেতা ড. কামাল হোসেন এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলে একাধিক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেন মার্কিন কংগ্রেসের লিগ্যাল এইড কমিটি ও পেট্রোলিয়াম নেগোসিয়েশন অ্যন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কমিটির দীর্ঘ সময়ের মেম্বার ছিলেন। এছাড়া তিনি মার্কিন একাধিক প্যানেল কমিটির পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই প্রভাবগুলো খাটিয়ে ড. কামাল হোসেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন প্রভাবশালী লবিস্ট হিসেবে পরিচিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার প্রভাব খাটিয়ে ড. কামালের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সিনহার রাজনৈতিক আশ্রয়ের জোর প্রচেষ্ট চালাচ্ছেন।
যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ খেতাব `কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল` পাওয়া ড. ইউনূস সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফাস্ট লেডি হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের বেশ ঘনিষ্ঠ, সেই সূত্রে মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে ড. ইউনূসের। এসব যোগাযোগ ব্যবহার করে এসকে সিনহার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার বিষয়ে তদবির করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরইমধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার লেখা বই ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
যদিও তার এই অসত্য তথ্য সম্বলিত বই নিয়ে বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখায়নি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ফলে তার বইয়ের মোড় উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মাত্র ১১ থেকে ১২ জন সদস্য। যারা প্রত্যেকেই কোনো কোনভাবে সিনহার ব্যক্তিগত সম্পর্কে আবদ্ধ।
বিএনপির একজন প্রথম সারির নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য যে আবেদন করেছেন তা সফল করতে কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সিনহা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে প্রস্তুত।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক