বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন আদর্শের সঠিক বাস্তবায়নে অনেক কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় জেলার উন্নয়ন সমৃদ্ধ ও সমুন্নত করছে।।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত আর্থিক অন্তর্ভূক্ত সূচীতে ফেনী রয়েছে দ্বিতীয়। বর্তমান সরকারের বিরামহীন চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে ফেনী জেলা।
ফেনী জেলার সোনাগাজীতে নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের শিল্পায়ন এবং অর্থনীতির গতিশীলতার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে ফেনী। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করবে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ জনশক্তি।
ভৌগোলিকভাবে ফেনী হলো বাংলাদেশের নাভি। ঢাকা-চট্টগ্রামের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে এ জেলার অবস্থান। ফেনীর পাশেই পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। আর সোনাগাজীর পরেই সমুদ্র। যেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে মিনি নৌ-বন্দর। দেশের রেমিটেন্সে ফেনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় ফেনী জেলার অগ্রগতি উলেখযোগ্য। ফেনীতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয় ১৮৮৪ সালে ফেনী আদর্শ পাইলট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে। এর দুই বছরের মাথায় ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেনী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
নারী শিক্ষায় ফেনী বাংলাদেশের অনেক জেলা থেকে অগ্রগামী। শুধুমাত্র নারীদের শিক্ষার জন্য ১৯১০ সালে ফেনীতে প্রতিষ্ঠিত হয় সরলাদেবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যা বর্তমানে ফেনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত।
সরকারের চেষ্টায় বর্তমানে ফেনীতে সাক্ষরতার হারঃ ৫৯.৬%। একটা সময় উপর্যুপরি ভয়াবহ বন্যা, সমুদ্রের লোনা পানি প্রবেশ, পর্যাপ্ত সেচ সুবিধার অভাবের ফলে ফেনী জেলার ক্ষয়ক্ষতি ছিল সীমাহীন।
এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও নদী শাসনের জন্য বর্তমান সরকার ফেনী নদীর নিম্ন অববাহিকায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বেড়ীবাঁধ ও রেগুলেটর বসিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, লবণাক্ততা প্রতিরোধ, শুষ্ক মৌষুমে কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া, মৎস্য চাষ, ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মুহুরী সেচ প্রকল্প তৈরী করেছে। পঞ্চ নদীর মুহুরী বাঁধ পরবর্তীতে ফেনী জেলার জনগণের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে।
মুহুরী বাঁধের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রিত হয়, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পায়, ভূমি পুনরুদ্ধার শুরু হয়, লবণাক্ততা কমে যায় ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মুহুরী বাঁধ ছাড়া ফেনীর সমৃদ্ধি অকল্পনীয়। প্রায় ৪০,০০০ হেক্টর জমি কৃষি চাষের আওতাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ৯০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদিত হয় যা বাঁধ ও ফেনী রেগুলেটর নির্মাণের পূর্বে ছিল মাত্র ৫০ কোটি টাকা।
বর্তমান সরকার জেলার জাতীয় মহাসড়ক হিসেবে ৩১ কিঃ মিঃ (ঢাকা- চট্টগ্রাম) রাস্তা নির্মাণ করে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। ২০ কিঃ মিঃ (ফেনী-নোয়াখালী) নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া রেল ২৬ কিঃ মিঃ রেলপথ নির্মাণ করে জেলার সাধারণ মানুষদের যাতায়াত সহজ করেছে সরকার। জেলায় ১,০৪৪.৮৫ কিঃ মিঃ পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছে সরকার। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামীতে ফেনী জেলার উন্নয়নের শিখরে পৌছে যাবে বলে জেলার সাধারণ মানুষের আশা।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।