সেবা ডেস্ক: কোটা সংস্কার প্রজ্ঞাপন জারি না করে ৪০তম বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স লাইব্রেরি থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি টিএসসি হয়ে শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে সরকারের কাছে তারা তিনটি দাবি জানান।
কোটা সংষ্কার আন্দোলনকারীদের ৩ দফা দাবি হলো- ৫ দফার আলোকে যৌক্তিক কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনে হামলাকারীদের উপযুক্ত বিচার দাবি।
আগের ৫ দফা গুলো হলো, কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
কোটাধারীরা আকাশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, তারা এই জনপদের পিছিয়ে পড়া মানুষ। একসময় একটি নির্দিষ্ট জেলার ৩৩ সচিব একসাথে ছিল এক সময়।
আগের ৫ দফা গুলো হলো, কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া এবং চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
কোটাধারীরা আকাশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, তারা এই জনপদের পিছিয়ে পড়া মানুষ। একসময় একটি নির্দিষ্ট জেলার ৩৩ সচিব একসাথে ছিল এক সময়।
আর এই জন্য কোটা করতে হয়েছে যেন, সাম্যের ভিত্তিতে সব জেলায় মেধাবী তৈরি হতে পারে। নারীসহ সব পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী এগিয়ে যেতে পারে।
কোটা আন্দোলনের নামে মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে একটি কুচক্রী মহল। গোপন সূত্রে জানা গেছে কোটা আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নের আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে ফিরেছিলো শিক্ষার্থীরা।
কোটা আন্দোলনের নামে মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে তৎপর রয়েছে একটি কুচক্রী মহল। গোপন সূত্রে জানা গেছে কোটা আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নের আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে ফিরেছিলো শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকেই মূলত এই আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করে আবারো সহিংস আন্দোলনে নামার পাঁয়তারা করছিলো শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ফলশ্রুতিতে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে আবারো কোটা আন্দোলনকারীর পরিচয়ে আন্দোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি নিয়োগে কোটা রয়েছে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি নাতনির জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা চাকরি বিদ্যমান রয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে এ সংখ্যা কমাতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে কোটা সংস্কার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। তাই কোটা সংস্কার করতে কিছু সময় লাগবে।
বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি নিয়োগে কোটা রয়েছে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি নাতনির জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা চাকরি বিদ্যমান রয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে এ সংখ্যা কমাতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে কোটা সংস্কার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল। তাই কোটা সংস্কার করতে কিছু সময় লাগবে।
সরকার কোটা সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও বার বার রাস্তায় নেমে আসাকে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত প্রকাশ করে। আন্দোলন করে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করা ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ কাজটি করছে।