মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের সুপরিকল্পিত প্রমাণ মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রের

S M Ashraful Azom
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের সুপরিকল্পিত প্রমাণ মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রের

সেবা ডেস্ক: মিয়ানমারে সংখ্যালুঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণসহ সুপরিকল্পিত সহিসংতা চালিয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । ওয়াশিংটন গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার এ তথ্য জানায়। মিয়ানমার রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘে বৈঠক চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তহবিল দেওয়ার ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবর এএফপি’র।

মানবাধিকার সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ প্রতিবেদন তৈরী করলেও এক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরী করতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রাপ্ত বয়স্ক এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার নেয়া হয়।

এ প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ব্যাপকহারে হত্যার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়ভাবে গণহত্যা বা জাতি নিধন শব্দের ব্যবহার এড়িয়ে চলা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গার অধিকাংশ মুসলিম। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের বসবাস। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশে অনেকে রোহিঙ্গাদের অবজ্ঞা করে এবং তাদেরকে নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতা ছিল চরম ও বৃহৎ পরিসরে।’

এতে আরো বলা হয়, সামরিক বাহিনীর অভিযানের ধরণ ও পরিসর দেখে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তারা অনেক সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে এ অভিযান চালায়।

অনেক এলাকায় অপরাধীরা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে কিছু কৌশলের আশ্রয় নেয়। তাদের এসব কৌশলের মধ্যে ছিল ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে লোকজনের ওপর গুলি বর্ষণ এবং রোহিঙ্গাদের বহন করা নৌকা ডুবিয়ে দেয়া।



⦽প্রকাশকাল: ২৬-সেপ্টেম্বর-২০১৮-১৯:০৫  ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top