সেবা ডেস্ক: জাতীয় ঐক্য তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। যদিও ঐক্য তৈরিতে সহযোগী দলগুলোর নানা শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ হতে হচ্ছে তাদের। শর্তপূরণের অঙ্গীকার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না দিলেও বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি নেতারা বলছেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হলেও ঐক্যে যেতে চায় তারা।
‘সর্বোচ্চ ত্যাগ’ বলতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি কী বোঝাতে চাইছে তা স্পষ্ট না করলেও দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে ঐক্য নিয়ে বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্য তৈরিতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি যেভাবে এগুচ্ছে তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান।
জাতীয় ঐক্যে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি এবং সহযোগী দলগুলোর একমাত্র ইস্যু হবে- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যেখানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক ঐক্য গঠন উদ্দেশ্যের বাইরে থাকছে। এতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বৃহৎ ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আবার, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি থাকছে না। ড. কামাল হোসেন অথবা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, যে কারও নেতৃত্ব মেনেই বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি ঐক্যে যাবে। সুতরাং সরকার চলবে অন্য কারো ইশারায়।
বৃহত্তর ঐক্য গঠিত হলে, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় হবে।
আন্দোলন সফল হলে বা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবার সিদ্ধান্ত হলে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন পর্যন্ত ঐক্যের অন্য শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেবে। এছাড়া, বৃহত্তর ঐক্য ক্ষমতায় গেলে প্রথম দুই বছর বিএনপি সরকার চালাবে না।
ড. কামাল হোসেন বা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে। এতে অবস্থান সংকটে পড়তে পারে বিএনপি। আবার একটি দল নিষ্ক্রিয় হতে দুই বছর কম সময় নয়।
বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া দু’জনের কেউই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সরকারে থাকবে না। ফলে দু’জনেরই পুনরায় নেতৃত্বে ফেরা সময় এবং ভাগ্যের হাতে।