সেবা ডেস্ক: বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জনগনকে এক সময় অসহনীয় লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো। স্থবির হয়ে পড়তো জনজীবন। বন্ধ হয়ে থাকতো শিল্প-কারখানার উৎপাদন। শিল্প-কারখানার উৎপাদন আরো ত্বরান্বিত করতে বাড়ানো হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন। সম্প্রতি ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিদ্যুতের চাহিদা মিটানোর জন্য প্রতি বছরই বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন। দেশের জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। দেশের সর্বত্র বিদ্যুতের আলো ছড়িয়ে দিতে স্থাপন করা হয়েছে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুতের আলো। আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জ্বলছে আলো। দেশের প্রতিটি কোণে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য নিত্য নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে এই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী মাসের প্রথম দিকে এই বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। ভারতের সরকারি খাত থেকে ২৫০ ও বেসরকারি খাত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারতের বহরমপুর গ্রিড থেকে এই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে এই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। প্রকল্পটির নাম রাখা হয়েছে ‘৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক কনভার্ট ইউনিট-২’। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম ভেড়ামারা দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়।
দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বদ্ধ পরিকর বর্তমান সরকার। এজন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ‘রূপকল্প-২১’ বাস্তবায়নের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুতের আলো। এক সময় সন্ধ্যার পর গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠতো কুপি বাতি। অনেক সময় কেরোসিনের অভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে থাকতে হতো গ্রাম বাংলার মানুষকে। আজ তারাও পাচ্ছে বিদ্যুতের আলো। এজন্যই দেশ বর্তমানে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ’ গড়ার দিকে এগোচ্ছে।