সেবা ডেস্ক: চীনের কুনমিং প্রদেশ থেকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপর দিয়ে কলকাতা পর্যন্ত একটি বুলেট ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা করছে চীন সরকার। গত বুধবার কলকাতায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কলকাতায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা ঝানউ এসব কথা বলেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে।
কলকাতায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা ঝানউ বলেন, ‘ভারত এবং চীনের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা এবং কুনমিং এর মধ্যে একটি উচ্চগতি সম্পন্ন রেল সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব’। এ সময় তিনি এই রেল সংযোগটি বাস্তবায়িত হলে কুনমিং থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশ ও কলকাতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন।
মা ঝানউ আরও বলেন, ‘২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথের বিভিন্ন অংশে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। তাতে যেসব দেশের ওপর দিয়ে এই রেলপথ যাবে, তাদের সবারই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিশেষ সম্ভাবনা থাকবে‘।
এই রেলপথের লক্ষ্য বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) করিডোরে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কলকাতা থেকে কুনমিং পর্যন্ত ইতিহাসের সেই সিল্ক রুট পুনরুদ্ধারে চীন বদ্ধপরিকর’।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে চিনের সাথে আমাদের এক বিশাল বানিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। চিন থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবার সুযোগ রয়েছে। এই রুটে চিন ও ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
এ রেল পথ চালু হলে কম সময়ে ও স্বল্প খরচে ভারত ও চিনে ভ্রমণ করা যাবে, আমদানি রপ্তানি কাজ আরও সহজ হবে। চিনের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে দেশে চিনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখবে।
⦽প্রকাশকাল: ১৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-০১:৩৩ ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
কলকাতায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা ঝানউ বলেন, ‘ভারত এবং চীনের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা এবং কুনমিং এর মধ্যে একটি উচ্চগতি সম্পন্ন রেল সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব’। এ সময় তিনি এই রেল সংযোগটি বাস্তবায়িত হলে কুনমিং থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশ ও কলকাতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন।
মা ঝানউ আরও বলেন, ‘২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথের বিভিন্ন অংশে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। তাতে যেসব দেশের ওপর দিয়ে এই রেলপথ যাবে, তাদের সবারই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিশেষ সম্ভাবনা থাকবে‘।
এই রেলপথের লক্ষ্য বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) করিডোরে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কলকাতা থেকে কুনমিং পর্যন্ত ইতিহাসের সেই সিল্ক রুট পুনরুদ্ধারে চীন বদ্ধপরিকর’।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে চিনের সাথে আমাদের এক বিশাল বানিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। চিন থেকে প্রচুর ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবার সুযোগ রয়েছে। এই রুটে চিন ও ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
এ রেল পথ চালু হলে কম সময়ে ও স্বল্প খরচে ভারত ও চিনে ভ্রমণ করা যাবে, আমদানি রপ্তানি কাজ আরও সহজ হবে। চিনের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে দেশে চিনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখবে।
⦽প্রকাশকাল: ১৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-০১:৩৩ ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক