জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মেলান্দহ পূর্ব শক্রতার জেরে গভীর রাতে বসত বাড়ীঘরে হামলায় ভাংচুর, শ্লীলতাহানী,চুরির অভিযোগে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার বিররনীতে জানা যায়, মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের সরুলিয়া গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিন্রে পুত্র মোঃ মাজেদ গংদের সাথে একই এলাকার মৃত-জসিম উদ্দিন বেপারীর পুত্র জয়নাল আবেদীন গংদের দীর্ঘদিন থেকে বিবাদ চলে আসছিল।
শত্রুতার জের ধরে জয়নাল আবেদীন গংরা রাতের আধারে মাজেদ আলী গংদের বাড়ীতে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় বাড়ীতে থাকা মাজেদ আলীর ভাই মজনু মিয়াকে মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। ওই সময় বোন সেলিনা বেগম ও আছমা বেগম বাধাঁ দিলে তাকেও বেদম মারপিট করে। এতে ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী আগাইয়া গেলে প্রাণ নাশের হুমকিও দিয়ে চলে যায়। বেদম মারপিটে ভাই ও দুইবোন গুরুত্বর আহত হলে তাদের ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। মাজেদ মিয়া অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা প্রেরন করা হয়।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার মোঃ মাজেদ বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মোঃ সুমন মিয়া.জুয়েল,জয়নাল আবেদীন,আছিয়া বেগম,রহম আলী,মঞ্জু বেপারী,পন্ডিত বেপারী,সোহেল বেপারী,শাকিল মন্ডল,ফাতেমা বেগম,লিটন মিয়াসহ ১৩জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী মাজেদ এর বোন সেলিনা বেগম ও আছমা বেগম জানায়, ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা করার সময় হাতাহাতি হয়। এতে আছিয়া বেগম,সুলতানা বেগমসহ তাদের সাথে আমাদের দিনের বেলায় ঝগড়া হয়। রাতে তারা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমাদের মারপিট করে। বর্তমানে আমরা প্রান নাশের শঙ্কায় রয়েছি।আমরা আদালতের নিকট সুস্থ্য বিচার চাই।
এ ব্যাপারে,দুরমুট ইউনিয়ন পরিষদের ওই ওয়ার্ডের সদস্য তোতা মিয়া বাড়ী ঘরের হামলার ঘটনায় নিশ্চিত করে বললেন, আমি নিজে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আর যাতে এমন বিশৃঙ্খলা না হয় সেই লক্ষে জয়নাল আবেদীন গংদের বলে এসেছি। তবে এ ঘটনার মামলায় আগাম জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত সুমনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে বলে জেনেছি।