সেবা ডেস্ক: গত ১ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বিপুল লোক সমাগম করতে লন্ডন থেকে প্রায় দু`শ কোটি টাকা আসে। উক্ত সমাবেশ শেষে টাকার হিসাব নিয়ে ফখরুল রিজভীর মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে।
সমাবেশে লোক সমাগম বাড়াতে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠায়। উদ্দেশ্য নিম্ন আয়ের মানুষদের বিরিয়ানি ও টাকার লোভ দেখিয়ে সমাবেশে নিয়ে আসা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অভ্যন্তরীণ নানা কোন্দলের কারণে সমাবেশে নেতা কর্মীর সমাগম কম হওয়ার আশংকা থেকেই এ ভাড়াটে লোকের ব্যবস্থা।
ভাড়াটে মানুষ ম্যনেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রিজভীর উপর। সমাবেশ শেষে রিজভী ফখরুলের কাছে টাকা চাইলে, ফখরুল বলে ‘টাকা নেই, শেষ হয়ে গেছে’। রিজভী রেগে গিয়ে বলে ‘টাকা শেষ মানে? দু‘শ কোটি টাকা এত তাড়াতাড়ি কিভাবে শেষ হয়?’ টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার যথাযথ কারণ দেখাতে পারেনি ফখরুল। টাকার হিসাব চাইলে ফখরুলও রিজভীর উপর উত্তেজিত হয়ে বলে “আমি আপনার কাছে টাকার হিসাব দিতে বাধ্য নই”। পরবর্তীতে রিজভী তারেককে বিষয়টি অবহিত করেন।
সমাবেশে আসা মানুষকে বিরিয়ানি ও টাকা দিতে না পারায়, নেতা কর্মীদের অপমান করতে থাকে ভাড়াটে মানুষ জন। কিছু টাকা ও এক বেলা ভাল কিছু খাওয়ার আশায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো সমাবেশে উপস্থিত হয়। টাকা দেওয়ার কথা বলে মানুষ নিয়ে এসেছিল নেতাকর্মীরা, শেষ পর্যন্ত টাকা দিতে পারায় না তাদের ‘প্রতারক’ বলতে থাকে মানুষেরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘সমাবেশে লোক সমাগম বাড়াতে লন্ডন থেকে প্রায় দু‘শ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল তারেক। পরিকল্পনা অনুযায়ী, লোক সমাগম করা হয়েছিল তবে টাকা দেওয়ার সময়ই দেখা দেয় ফখরুল-রিজভী দ্বন্দ্ব। ফখরুলের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি পরে তারেক রহমানকে জানায় রিজভী। যথা সময়ে ফখরুলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তারেক।
অগণতান্ত্রিক এবং লোক দেখানো রাজনীতির প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। তারেক, রিজভী ও ফখরুলের এমন অদক্ষ রাজনীতি তাই ঘৃণিত হয়েছে সর্ব মহলে।