সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ও সরকার আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্যটি প্রদান করেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন দেশের গোপন নথি ফাঁসকারী প্রতিষ্ঠান উইকিলিক্স এর হাতেও বাংলাদেশের উপর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে নথিপত্র রয়েছে বলে একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে এ প্রসঙ্গে বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও সাফল্য দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সমগ্র পৃথিবী। ফলে বলতেই হবে বাংলাদেশের এ আমূল পরিবর্তনের সকল অবদান বর্তমান সরকারের।
এ কারণে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণেই আমরা আস্থা রাখছি বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগ এর ওপর। যদিও সে দেশের জনগণই মূল সরকার গঠন করবে।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেস্কের কর্মকর্তা রবার্ট হেনরি বলেন, প্রথম দিকে শেখ হাসিনা সরকার নিয়ে দোটানা থাকলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপরেই আস্থা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইতোমধ্যে দেশের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্হানকারী বিএনপি ও জামাতের অপপ্রচারের হাতিয়ার বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ/পেইজ/আইডি ও অনলাইন পোর্টাল যেমন-কামরুল বাংলাদেশ, বিডি পলিটিকো, দিগন্তবার্তা, বিশ্বতরুণ প্রজন্ম, এটিভি, বাঁশেরকেল্লা ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাটফর্মে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রধানের এ সফরটি অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এতদ-সংক্রান্ত কিছু নথিপত্রও এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে যা সংগত কারণে প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে আরো বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান ধনী দেশের তালিকায় প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্ব এই সফলতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ কারনেই ভারতের আস্থা হাসিনা সরকারের প্রতি।
তবে বর্তমানে প্রশ্ন উঠেছে, লবিস্ট নিয়োগের জন্য হাজার হাজার ডলার এবং জঙ্গি অর্থায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা কোথায় পাচ্ছে বিএনপি? এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে কথা হয় বাংলাদেশের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানের। সিআইএ জানায়, বিভিন্ন নথিপত্র ও বিএনপি সমর্থিত প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুক আইডি নজরদারি করছিলো তারা। উক্ত আইডি পর্যবেক্ষণ করে তারা জানতে পারছে যে, মূলত চারটি স্থান থেকে বাংলাদেশে অবৈধ পথে প্রতিদিন ৩০ কোটি টাকা প্রবেশ করে এবং পাচার হয়। শহর চারটি হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই এবং কুয়ালালামপুর।
সিআইএ’র তথ্যের বরাত দিয়ে একটি বিশেষ সূত্র জানায়, নিউ ইয়র্ক থেকে টাকা পাঠান ড. ইউনূস, লন্ডন থেকে টাকা পাঠান তারেক রহমান, বর্তমানে আরব আমিরাতে অবস্থান করা বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু টাকা পাঠান দুবাই থেকে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ায় পাচারকৃত হাজার হাজার কোটি টাকাও বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে জঙ্গিদের সংগঠিত করতে।
জানা যায়, যুক্তরাজ্যেও লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানায় অতিসত্ত্বর কে এবং কারা এ লবিস্ট নিয়েগের সঙ্গে জড়িত তা উন্মোচন করা হবে।
উল্লেখ্য, পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে জড়িত আউয়াল পরিবার, সাকা পরিবার, মির্জা আব্বাস এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একাধিক অর্থের উৎস হতে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার করা হচ্ছে শুধুমাত্র বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিংকে শক্ত করার জন্য।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের জন্য বাঁশের কেল্লা, এটিভি, বিশ্ব তরুণ প্রজন্ম, আন্দোলন নিউজ, কোটা সংস্কার চাই, কামরুল বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন পেইজকে অর্থায়ন করে থাকে বিএনপি। ইতোমধ্যে সিআইএ এসকল পেইজের এডমিনদেরও সনাক্ত করতে পেরেছে।
সিআইএ এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠকের একটি সূত্র বরাতে আরো জানা যায় যে, কিছু দিন আগে বাংলাদেশে যে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন সংগঠিত হয়, তা প্রথম অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থাকলেও বিএনপি সে আন্দোলনকে নিজেদের করতে হাজার হাজার সন্ত্রাসীবাহিনী সাধারণ শিক্ষার্থীর বেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রবেশ করিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্য একটি বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় ছিলো। তা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক প্রোপাগাণ্ডা। জানা যায়, শুধু মাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা/প্রচারণা চালানোর জন্যে বিএনপি বিভিন্ন দেশে সাইবার ইউনিট তৈরি করেছে। এই সাইবার ইউনিটগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ায় রয়েছে তিনটি, যুক্তরাজ্যে ১১টি এবং দুবাইয়ে রয়েছে ১ টি সাইবার ইউনিট। এগুলোর প্রত্যেকটিই বিএনপির নিজস্ব তৈরি করা সাইবার ইউনিট।
রাজনীতির মাঠে বিজয়ের জন্য একটি দল এতোটা নিচে নামতে পারে তার হাতে নাতে প্রমাণ পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র অধিদপ্তর প্রতিবেদককে জানায়, ক্ষমতায় মানুষ আসতে চায় দেশকে সেবা করার উদ্দেশ্যে; উন্নয়নের চাকা থামিয়ে দেশকে পেছনে ধাবিত করার উদ্দেশ্যে নয়।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেস্কের কর্মকর্তা রবার্ট হেনরি বলেন, প্রথম দিকে শেখ হাসিনা সরকার নিয়ে দোটানা থাকলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপরেই আস্থা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইতোমধ্যে আমাদের কাছে লবিস্টের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব এসেছিলেন। তবে আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জানা যায় পররাষ্ট্র দফতর থেকে আশাহত হয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে মির্জা ফখরুল কথা বলতে গেলে তার পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেয়া হয়, বাংলাদেশের নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করা হবে না।
তাছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি লবিস্টের সহায়তায় এ কাজটি করার অপচেষ্টার কারণে উল্লেখিত কর্মকর্তা বিব্রত বোধ করেন বলেও একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্হার মাধ্যমে জানা যায়।
সাম্প্রতিক অতীতে দেশের প্রয়োজনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে একাধিকবার সফরে গিয়েছেন কিছুসংখ্যক সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। অথচ এ ব্যাপারটিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে একটি মহল বলছে, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নাকি নির্বাচন ইস্যুতে সফরে যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে তারা এটা বুঝতে পারছেনা, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বই চাইছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে।
ইতোমধ্যে দেশের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্হানকারী বিএনপি ও জামাতের অপপ্রচারের হাতিয়ার বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ/পেইজ/আইডি ও অনলাইন পোর্টাল যেমন-কামরুল বাংলাদেশ, বিডি পলিটিকো, দিগন্তবার্তা, বিশ্বতরুণ প্রজন্ম, এটিভি, বাঁশেরকেল্লা ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাটফর্মে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রধানের এ সফরটি অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এতদ-সংক্রান্ত কিছু নথিপত্রও এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে যা সংগত কারণে প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।
জানা যায়, বিদেশে অবস্হানরত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত অনলাইন প্লাটফর্মসমূহের রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা ও দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত তাদের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের কর্তৃক বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা এবং বিএনপি-জামাত কর্তৃক পাকিস্তান ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীল সরকারকে হঠানোর ঘৃণ্য চক্রান্তকে নির্মুল করার লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতেই এ দেশের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান বর্ণিত দেশগুলোতে সফরে যান। তার সফরটি শতভাগ সফল হয়েছে মর্মে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়।
প্রভাবশালী দুটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বর্তমান সরকারের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাটিকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাছাড়া, বিদেশে বসে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নিয়োজিত বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠি ও কামরুল পেইজের মালিক সামসুল ইসলামসহ বিভিন্ন পেইজ/গ্রুপের এডমিনকেও তারা সনাক্ত করেছেন এবং তাদেরকে নজর দারিতে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
উইকিলিক্সের হাতেও এ বিষয়ে বেশ কিছু নথিপত্র রয়েছে বলে জানা যায়। তাছাড়া, গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রধান দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বৈঠক করেন। সর্বোপরি, ধারণা করা হয় যে, বাংলাদেশী গোয়েন্দা প্রধানের সফরের পরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবহিত হয় এবং ফলস্বরূপ তারা বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে আরো বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান ধনী দেশের তালিকায় প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্ব এই সফলতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ কারনেই ভারতের আস্থা হাসিনা সরকারের প্রতি।
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উপর পর্যবেক্ষণ করে আমরা এ বিষয়ে উপনীত হতে সক্ষম হয়েছি যে, একটি মহল সর্বদাই এই দেশটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, কিছু বিচ্ছিন্ন জঙ্গি পুনরায় সংগঠিত হয়ে এবারের নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের শুভাকাঙ্খী হিসেবে ভারত কখনোই চাইবে না দেশটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলো মাথা চারা দিয়ে উঠুক।
আরও শোনা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক দুটি লবিং ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। চুক্তি অনুযায়ী লবিং ফার্ম ‘ব্লু স্টার’কে আগস্ট মাসে ২০ হাজার ডলার এবং বছরের বাকি মাসগুলোয় ৩৫ হাজার ডলার করে দিতে হবে। সঙ্গে রাস্কি পার্টনার্স ব্লু স্টারের সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে কাজ করবে। এই প্রতিষ্ঠানটি আগস্ট মাসের জন্য পাবে ১০ হাজার ডলার এবং বাকি মাসগুলোর জন্য পাবে ১৫ হাজার ডলার। শুধু মাত্র ক্ষমতায় আসার জন্য যারা দেশের মানুষের ভোটের উপর নির্ভর না করে লবিং-এর ওপর নির্ভর করে, তাদের সঙ্গে ভারতের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।
তবে বর্তমানে প্রশ্ন উঠেছে, লবিস্ট নিয়োগের জন্য হাজার হাজার ডলার এবং জঙ্গি অর্থায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা কোথায় পাচ্ছে বিএনপি? এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে কথা হয় বাংলাদেশের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানের। সিআইএ জানায়, বিভিন্ন নথিপত্র ও বিএনপি সমর্থিত প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুক আইডি নজরদারি করছিলো তারা। উক্ত আইডি পর্যবেক্ষণ করে তারা জানতে পারছে যে, মূলত চারটি স্থান থেকে বাংলাদেশে অবৈধ পথে প্রতিদিন ৩০ কোটি টাকা প্রবেশ করে এবং পাচার হয়। শহর চারটি হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই এবং কুয়ালালামপুর।
সিআইএ’র তথ্যের বরাত দিয়ে একটি বিশেষ সূত্র জানায়, নিউ ইয়র্ক থেকে টাকা পাঠান ড. ইউনূস, লন্ডন থেকে টাকা পাঠান তারেক রহমান, বর্তমানে আরব আমিরাতে অবস্থান করা বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু টাকা পাঠান দুবাই থেকে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ায় পাচারকৃত হাজার হাজার কোটি টাকাও বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে জঙ্গিদের সংগঠিত করতে।
জানা যায়, যুক্তরাজ্যেও লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানায় অতিসত্ত্বর কে এবং কারা এ লবিস্ট নিয়েগের সঙ্গে জড়িত তা উন্মোচন করা হবে।
উল্লেখ্য, পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে জড়িত আউয়াল পরিবার, সাকা পরিবার, মির্জা আব্বাস এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একাধিক অর্থের উৎস হতে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার করা হচ্ছে শুধুমাত্র বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিংকে শক্ত করার জন্য।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের জন্য বাঁশের কেল্লা, এটিভি, বিশ্ব তরুণ প্রজন্ম, আন্দোলন নিউজ, কোটা সংস্কার চাই, কামরুল বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন পেইজকে অর্থায়ন করে থাকে বিএনপি। ইতোমধ্যে সিআইএ এসকল পেইজের এডমিনদেরও সনাক্ত করতে পেরেছে।
‘কামরুল বাংলাদেশ’ নামক ফেসবুক পেইজটির মালিক সামসুল ইসলামকে শনাক্ত করে নজরদারিতে রেখেছে সিআইএ। যথাশীঘ্র উক্ত পেইজগুলোর এডমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হবে জানিয়েছে সিআইএ।
সিআইএ এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠকের একটি সূত্র বরাতে আরো জানা যায় যে, কিছু দিন আগে বাংলাদেশে যে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন সংগঠিত হয়, তা প্রথম অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থাকলেও বিএনপি সে আন্দোলনকে নিজেদের করতে হাজার হাজার সন্ত্রাসীবাহিনী সাধারণ শিক্ষার্থীর বেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রবেশ করিয়ে দেয়।
এ সকল সন্ত্রাসীকে মদদ দেয়া অর্থ আসে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও আরব আমিরাত থেকে এবং আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোপাগাণ্ডা চালানোর সকল অর্থ সঠিকভাবে বিন্যাসের দায়িত্ব ছিল আলোক চিত্র শিল্পী শহিদুল আলমের ওপর।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্য একটি বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় ছিলো। তা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক প্রোপাগাণ্ডা। জানা যায়, শুধু মাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা/প্রচারণা চালানোর জন্যে বিএনপি বিভিন্ন দেশে সাইবার ইউনিট তৈরি করেছে। এই সাইবার ইউনিটগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ায় রয়েছে তিনটি, যুক্তরাজ্যে ১১টি এবং দুবাইয়ে রয়েছে ১ টি সাইবার ইউনিট। এগুলোর প্রত্যেকটিই বিএনপির নিজস্ব তৈরি করা সাইবার ইউনিট।
রাজনীতির মাঠে বিজয়ের জন্য একটি দল এতোটা নিচে নামতে পারে তার হাতে নাতে প্রমাণ পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র অধিদপ্তর প্রতিবেদককে জানায়, ক্ষমতায় মানুষ আসতে চায় দেশকে সেবা করার উদ্দেশ্যে; উন্নয়নের চাকা থামিয়ে দেশকে পেছনে ধাবিত করার উদ্দেশ্যে নয়।
বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের ভালো করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতায় আসতে চায় না। অথচ, বাংলাদেশ যে গতিতে এগিয়ে চলছে তা চোখে পড়ার মতো। যুক্তরাষ্ট্রও চায় এ উন্নয়নের অংশীদার হতে।
আর এ কারণেই বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক মঙ্গল তথা উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন থাকবে বর্তমান সরকারের প্রতি।
⦽প্রকাশকাল: ১৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-০১:৩৩ ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
⦽প্রকাশকাল: ১৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-০১:৩৩ ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক