সেবা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে কাগজের দাম বেড়েছে। আর এরকম অজুহাত দিয়ে কাগজের বাজারে সিন্ডিকেট দিয়ে কাগজের দাম দ্বিগুণ করে দিলো বিএনপি সমর্থিত কতিপয় কাগজ ব্যবসায়ী।
রাজধানীর নয়া বাজারের কাগজ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, সরকারের সুষ্ঠু তদারকি থাকার পরেও দেশের কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে গেছে সাধারণ জনগন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কাগজের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু বিএনপি সমর্থিত কাগজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট বসিয়ে কাগজের বাজারে ঘাটতি তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দ্বিগুন করে দিচ্ছে। ফলে সরকারের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কাগজের দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকছে না।
কাগজ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ডিলার, পাইকার ও প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সমর্থিত গোষ্ঠী কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়াচ্ছে কাগজের দাম। মানভেদে কাগজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। কাগজের দাম বাড়ার মূল কারণ উল্লেখ করে তারা বলেছেন, বিএনপি সমর্থিত মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে সিন্ডিকেট গড়েছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো সংস্থা না থাকায় ইচ্ছামত দাম বাড়াচ্ছেন। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন ডিলার, পাইকার, প্রকাশক, সর্বোপরি সাধারণ ভোক্তারা।
কাগজের দাম বাড়ার বিষয়ে তাজ পেপার স্টোরের স্বত্বাধিকারী হামীম আহমাদ বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কাগজের দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় বাজারেই কাগজের দাম বাড়তি। গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি টন দেশি কাগজের দাম মানভেদে বেড়েছে ২০ থেকে ২৩ হাজার টাকা। চলতি বছরের এপ্রিলে যে কাগজের দাম টনপ্রতি ছিল ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকায়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারেও কাগজের দাম বেড়েছে। আগে যে কাগজ আমদানি করতে ৮৫০ থেকে ৯০০ মার্কিন ডলার লাগতো এখন সেখানে লাগছে ৯২০ থেকে এক হাজার ডলার।
সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিএনপি প্রতিটি সেক্টরের মতো কাগজের সেক্টরকেও কাজে লাগাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে নিউজ প্রিন্ট থেকে শুরু করে হার্ড বোর্ড পর্যন্ত প্রতিটি কাগজের দাম বাড়িয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করছেন তারা। শুধুমাত্র ক্ষমতায় আসার উদ্দেশ্যে জনসাধারণের কথা না ভেবে এমন হিংসাত্মক রাজনীতি বিএনপির করুণ পরিনতি ডেকে আনবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
-