নির্বাচন কেন্দ্রিক নাশকতা চালিয়ে দেশ বিক্রির পায়তারা করছে বিএনপি

S M Ashraful Azom
নির্বাচনকে কেন্দ্রিক নাশকতা চালিয়ে দেশ বিক্রির পায়তারা করছে বিএনপি

সেবা ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার যখন আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঠিক তখনি উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞ কর্মকাণ্ডকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে নাশকতার পরিকল্পনায় লিপ্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বরাত জানা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের নাশকতার পরিকল্পনা স্বরূপ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে সংগঠিত করে বোমা ও অস্ত্র বাণিজ্যে লিপ্ত হবে বিএনপি। আর এ হামলাগুলো সম্পূর্ণ অর্থ আসবে মূলত চারটি স্থান থেকে। শহর চারটি হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই এবং কুয়ালালামপুর।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে অবৈধ পথে প্রতিদিন ৩০ কোটি টাকা প্রবেশ এবং পাচার হলেও জঙ্গি হামলায় জন্য প্রয়োজনে আরও টাকা আসবে।

সিআইএ’র তথ্যের বরাত দিয়ে একটি বিশেষ সূত্র জানায়, নিউ ইয়র্ক থেকে টাকা পাঠান ড. ইউনূস, লন্ডন থেকে টাকা পাঠান তারেক রহমান, বর্তমানে আরব আমিরাতে অবস্থান করা বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু দুবাই থেকে টাকা পাঠান।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ায় পাচারকৃত হাজার হাজার কোটি টাকাও বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে জঙ্গিদের সংগঠিত করতে।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দেশ এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। শুধু মাত্র ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে কেউ যদি দেশের মানুষের ওপর এভাবে নগ্ন হামলা চালায়, তা হবে দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

নিশ্চয়ই তারা ক্ষমতায় আসতে চায় মানুষের জীবন রক্ষা করতে। যদি তাদের উদ্দেশ্য জীবন রক্ষা হয়, তবে নাশকতা চাইছে কেনো? এটা কোনো রাজনৈতিক আদর্শ হতে পারে না।

এদিকে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে সফরে গিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ দিয়ে, এ দেশকে অপমান করছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশে নালিশ দেয়ার কোনো মানেই হয় না।

এর মাধ্যমে এদেশের মানুষকে ছোট করা হয়। তাদের মনে রাখা উচিত ক্ষমতায় আসতে জনগণের ভালোবাসা লাগে, নালিশ না।

আসন্ন একাদশ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চাকে টিকিয়ে রাখার উল্লেখ্যযোগ্য মাধ্যম হবে। এই নির্বাচনে কেউ যদি অস্ত্রের সাহায্যে ক্ষমতায় আসার পায়তারা চালায় তবে সাধারণ মানুষ কখনোই মেনে নেবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

⦽প্রকাশকাল: ১৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-০১:৩৩  ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top