সেবা ডেস্ক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’কে বসানোর চক্রান্তে পাকিস্তানের নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাননি লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক জিয়া।
বাংলাদেশকে প্রয়োজনে পাকিস্তানের উপর নির্ভরশীল রাষ্ট্র বানানোরও ওয়াদা করেও ইমরানের কাছ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাকে। সূত্র বলছে, ইমরান খান বাংলাদেশ সরকারের উপর প্রতিশোধের বদলে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো প্রত্যয় ব্যক্ত করলে তারেক রহমান মর্মাহত হন। বরং তিনি তারেককে আইনের হাতে তুলে দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
লন্ডন বিএনপি নেতা মালেকের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা যায়, ২৩ আগস্ট লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসে গিয়ে উপস্থিত দূতাবাস কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দেশটির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুভেচ্ছা জানান তারেক। এসময় তারেক রহমানের সাথে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বিএনপির নেতা মালেকের ঘনিষ্ঠ আবুল হোসেন। তার ভাষ্যমতে, পাকিস্তানকে কট্টর ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে ইমরান কাজ করবেন বলে তারেক আশা প্রকাশ করেন এবং পাকিস্তান ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করারও আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে আইএসআইয়ের সহযোগিতা, নির্বাচনকালীন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের জ্বালাও-পোড়াও এবং নির্বাচনী তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য দূতাবাসের উপস্থিত দু’জন সিনিয়র কর্মকর্তার মাধ্যমে ইমরান খানের সরকারের কাছে সহায়তা চান তারেক। নির্বাচনে জিতলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আদলে কট্টর ইসলামী রাষ্ট্র, পাকিস্তানের ইচ্ছানুযায়ী পরিচালনা করারও ওয়াদা করেন। পাশাপাশি সেভেন সিস্টার নিয়ে ভারতকে চাপে রাখা, জঙ্গিবাদের মাধ্যমে ভারতকে অস্থিতিশীল করার কথাও দেন তারেক। বিনিময়ে পাকিস্তানকে শুধু নির্বাচনের পূর্বে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখা, নির্বাচনে বিএনপিকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করা এবং খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তারেক রহমানের অনৈতিক এবং অযৌক্তিক সব দাবি শুনে উপস্থিত দুই দূতাবাস কর্মকর্তা হাসিতে ফেটে পড়েন। নির্বুদ্ধিতা এবং আকাশ-কুসুম কল্পনার জন্য তারেক রহমানকে তিরষ্কার করেন তারা। একপর্যায়ে তারেক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে তাকে পুলিশ ডাকার আগে দূতাবাস এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে অপমানিত হয়ে দূতাবাস ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন তারেক। চলে যাওয়ার সময় পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র এবং আমেরিকার দালাল বলে গালি দেন তারেক।