জামালপুরে ভিজিএফে’র চাল বিতরণ: ২০ কেজি নয় ১৬ কেজি

S M Ashraful Azom
জামালপুরে ভিজিএফে’র চাল বিতরণ: ২০ কেজি নয় ১৬ কেজি

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর জেলার জামালপুর সদর উপজেলার দিকপাইত ইউনিয়নের দুঃস্থ মহিলাদের নামে ঈদুল আযাহার বরাদ্দের বিজিএফ প্রকল্পের চাল নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠেছে। দুঃস্থ মহিলাদের নামে ঈদুল আযাহার বরাদ্দের একটি বড় অংশ চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান দুঃস্থমাতাদের কমদিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল শনিবার ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারকে কিছু না জানিয়েই চেয়ারম্যান দুঃস্থ মাতাদের  মাথাপিছু ২০ কেজির স্থলে ১৬ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।

ডুয়াইল গ্রামের ফালানী, মালেকা, জাহানারা, জরিনা বেগমের চাল পরিষদের মাঠে ওজন করে ২০ কেজি করে পাওয়া গেছে। তারা জানান, অভিযোগ করলে আগামী মাস থেকে তাদের কার্ড কেটে যাবে। চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে মেরে ফেলবে তাই তারা কোন প্রতিবাদ করেন না।

দিঘুলী ঘোড়া মারা গ্রামের আঙ্গীরী বেগম বলেন, স্যার আমার নামটা দিয়েন না চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে মেরে ফেলবে। তারা ১৬ কেজি করে চাল দিচ্ছে। বেশির মহিলারা চালপাননি।

 ভিজিএফ এর চাল ২০ কেজীর জায়গায় ১৬ কেজি
দিগপাইত ইউনিয়নে দূস্থ্য নারীদের ভিজিএফ এর চাল ২০ কেজীর জায়গায় ১৬ কেজি। তা একটি দোকানে পরিমাপ করা হচ্ছে


জানা গেছে, এ ইউনিয়নে ভিজিএফে’র সুবিধাভোগি দুঃস্থ মহিলার সংখ্যা রয়েছে ২ হাজার জন। এদের মাথাপিছু চাল উত্তোলন করা হয়েছে ২০ কেজি করে। ওজনে পুকুর চুরির বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমানের সঙ্গে সামনা সামনি কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা গিয়ে মেপেদেন ২০ কেজি করে। ইউএনও ও ট্যাক অফিসারকে জানান।


চাল বিতরণের সময় ঘটনাস্থলে ট্যাক অফিসারকে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী চাল বিতরণ করছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়েই অত্যন্ত গোপনে চেয়ারম্যান চাল বিতরণ করেছেন। তিনি বলেন, শোনেছি ২০ কেজির স্থলে ১৬ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। তাই আমি মাস্টাররোলে স্বাক্ষর করবোনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগে করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখবো। কি করা যায়। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা দিবো।




#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top