তারেকের সংবাদ প্রকাশ করায় নারী সাংবাদিককে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যা

S M Ashraful Azom
তারেকের সংবাদ প্রকাশ করায় নারী সাংবাদিককে প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যা


সেবা ডেস্ক: চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এ বিদ্যুৎ প্রকল্পে পাবনাবাসীর ভোগান্তিতে বর্তমান লন্ডন পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান জড়িত থাকার বিষয়ে এক নারী সাংবাদিকের রিপোর্ট সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। এর সূত্র ধরেই পাবনায় সুবর্ণা আক্তার নদী (৩২) নামের সেই নারী সাংবাদিককে এবার বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারেক রহমানের অনুসারীরা।

মঙ্গলবার রাত১০টার দিকে জেলার রাধানগরে তার বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাউদুল হক।

প্রত্যক্ষ সূত্র বলছে, চার দলীয় জোট সরকার থাকাকালীন তারেক রহমান বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে পাবনাবাসীকে কীভাবে প্রতারিত করেছেন তার প্রমাণসহ সুবর্ণা আক্তার নদী (৩২) নামের সেই নারী সাংবাদিক একটি রিপোর্ট করেন আনন্দ টিভি এবং স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’তে। এ রিপোর্টের মাধ্যমে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের আসল চেহারা সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরেন তিনি। আর এটাই তার কাল হয়। রিপোর্টটি প্রকাশিত হবার পর থেকেই বিএনপির নেতারা একের পর এক হুমকি দিচ্ছিলেন নারী সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তারকে।

রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়, তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়ার আত্মীয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ব্যাকবোনসকে কার্যাদেশ দিতে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার অবৈধ তৎপরতা শুরু করেছিল আরইবির একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। খোদ আরইবির কতিপয় অসাধু সদস্য বিএনপি নেতা তারেক রহমানের ভয়ে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিলেন ভয়ঙ্কর এক অনিয়মে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় নীতিমালাও মানা হয়নি। কার্যাদেশ হাতিয়ে নিতে সিন্ডিকেট এতটাই মরিয়া ছিল প্রথম দফায় পছন্দের কোম্পানি নন রেসপন্সিভ হওয়ায় দরপত্র পর্যন্ত বাতিল করে দেয়া হয়েছিল।

সূত্রমতে, পাওয়ার ব্যাকবোনস লিমিটেড ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর উদ্যোক্তা পরিচালক ও চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার। বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের সদস্য চারজন। জানা গেছে, গোলাম সরোয়ার বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়ার ভায়রা। এ কোম্পানিটিকে ভাড়া এবং শতকরা ১৫ ভাগ শেয়ার দেয়ার শর্তে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নারী সাংবাদিক সুবর্ণা আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানতে পেরেছি মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা রবিউল হক মাহবুবুর নেতৃত্বে কিছু সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। তারা সুবর্ণার হাতে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 -
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top