সেবা ডেস্ক: সারাবিশ্বের ১০টি ঘনবসতি পূর্ণ দেশের তালিকার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের স্থান ষষ্ঠতম। বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। যেহেতু বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি এজন্য বাংলাদেশের অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মাণের কিছু দিন পরই তা আবার সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণ করা হয়। অনেক সময় সঠিক সময়ে সংস্কার না করলে তা জনগণের প্রাণহানি ঘটার কারণ হতে পারে। একটি ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্রে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপর চাপ বেশি পরে অথবা ব্যবহার বেশি হয় বিধায় নির্দিষ্ট সময় পর পর তা সংস্কার করা খুব জরুরি।
দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ অর্থাৎ ভবন ও রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায়ও রাস্তা ও সরকারি ভবন রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সরকারি নির্মাণকাজের গুণ ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব কাজে যাতে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয় সে লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দিলেন। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দফা নির্দেশনা গুলো হলো :
- দেশে যেসব রাস্তা ও ভবন তৈরি হবে নির্মাণ কর্তৃপক্ষ তার লাইফটাইম অর্থাৎ আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করবে।
- ভবন, রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরওয়ারি কী পরিমাণ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তা নির্ধারণ করবে ।
- আগামী দুই মাসের মধ্যে লাইফটাইম নির্ধারণ সংবলিত সব কর্মপরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে হবে
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি মনিটরিং করবে।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ঐতিহাসিক, কেপিআই স্থাপনাসহ বিভিন্ন সরকারি ভবন ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদফতরের। বর্তমানে দেশে গণপূর্ত অধিদফতরের আওতাধীন সরকারি অফিস ও আবাসিক ভবনের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। এসব ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যদি এসব অবকাঠমো নষ্ট বা ভঙ্গুর পর্যায়ে চলে যায় তাহলে রাষ্ট্রেরই ক্ষতি হবে। এই অনাকাঙ্খিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী চার দফা দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এর ফলে দেশের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর সঠিক ভাবে তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
-