সেবা ডেস্ক: ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং জামায়াতের টানাপোড়েনে যুক্ত হয়েছে নতুন শঙ্কা। জানা গেছে, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে জোড় তৎপরতা শুরু করেছে ৮টি দল।
দলগুলো হলো ইসলামিক ফ্রন্ট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জাগো দল, একামত আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক জোট। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান নিয়ে সংশয় ও শঙ্কটে পড়েছে বিএনপি।
সূত্র বলছে, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুজন নেতা ও নাজমুল হুদার সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রথম স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে বেরিয়ে ২০১৫ সালে ‘তৃণমূল বিএনপি’গঠন করেন। বর্তমানে ৩১টি দল নিয়ে নাজমুল হুদার জোট বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) ।
নতুন জোট গঠনের পরপরই বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জোটে ভিড়তে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বছরের শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঘিরে দেশের বড় দুই দলেই চলছে ছোট দলগুলোর জোটভুক্ত হওয়ার হিসাব-নিকাশ। গত ১৮ জুলাই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপিসহ নয়টি দল বৈঠক করে। সে বৈঠকে নাজমুল হুদা বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগী হয়ে কাজ করতে চান।
সপ্তাহখানেক পর ২৬ জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে নাজমুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেদিন অবশ্য কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গেও ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক হয়।
বৈঠক ও জোটে যাওয়ার ব্যাপারে নাজমুল হুদা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোট আছে। তবে প্রধানমন্ত্রী তার জোটের বাইরে সমমনাদের নিয়েও ভাবছেন। বিএনএ ছাড়াও বাইরে আরও কিছু জোট আছে। সার্বিকভাবে একটি নির্বাচনী মোর্চা গঠিত হতে পারে।’
আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপির আসা না–আসার ওপর আওয়ামী লীগের জোট সম্প্রসারণ অনেকাংশেই নির্ভর করছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি সমমনা সব দলের সঙ্গেই আওয়ামী লীগ যোগাযোগ রাখছে। নাজমুল হুদার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও বিভিন্ন দলের জন্য কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করবে তাঁর দল। আওয়ামী লীগ অবশ্য হুদাকে জানিয়েছে, তাদের ১৪-দলীয় জোটের শরিকেরা এই জোটকে আর বড় করতে চায় না।