সেবা ডেস্ক: ২০০৪, ২১ আগস্ট এর গ্রেনেড হামলা, বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৪ সালের এই দিনে ব্যক্তি আক্রোশে নারকীয় এই গ্রেনেড হামলা চালায়।
উদ্দেশ্য হাসিলের এই ঘৃণ্যতম অপরাধে জড়িতদের বিচার এখন শুধু সময়ের দাবি। আর সে লক্ষ্যে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি ২০ মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নিচে নামার মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০০ জন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারীনেত্রী ও বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মিসেস আইভী রহমান। সৌভাগ্যবশত নেতাকর্মীদের মানবপ্রাচীরের কারণে শেখ হাসিনা প্রণে বেঁচে যান।
২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে মোট ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ৩ আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুফতি হান্নান ও শরীফ সাইদুল আলম বিপুলের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার আসামি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদাবক্স চৌধুরী এবং মামলার সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা-সিআইডির সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সিআইডির সাবেক এএসপি আতিকুর রহমান ও আবদুর রশিদসহ মোট ৮ জন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ জন এখনো পলাতক।
তৎকালীন বিএনপি শাসনামলে এই মামলাটিতে স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি এবং ভুয়া তদন্ত করে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের আওতায় এই মামলার স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ায় দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান। ফলে অচিরেই মূল দোষী তারেক রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই প্রত্যাশা সকলের।
দেশের জনগণ যখন উন্নততর জীবনের দিকে ক্রমেই অগ্রসরমান তখন কলঙ্কের ভারমুক্ত হয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে এমন ঘৃণিত ইতিহাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। তারা চায় অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড।
-
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি ২০ মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বক্তৃতা শেষে মঞ্চ থেকে নিচে নামার মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০০ জন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারীনেত্রী ও বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মিসেস আইভী রহমান। সৌভাগ্যবশত নেতাকর্মীদের মানবপ্রাচীরের কারণে শেখ হাসিনা প্রণে বেঁচে যান।
২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে মোট ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ৩ আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুফতি হান্নান ও শরীফ সাইদুল আলম বিপুলের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার আসামি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদাবক্স চৌধুরী এবং মামলার সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা-সিআইডির সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সিআইডির সাবেক এএসপি আতিকুর রহমান ও আবদুর রশিদসহ মোট ৮ জন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ জন এখনো পলাতক।
তৎকালীন বিএনপি শাসনামলে এই মামলাটিতে স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি এবং ভুয়া তদন্ত করে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের আওতায় এই মামলার স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ায় দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান। ফলে অচিরেই মূল দোষী তারেক রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই প্রত্যাশা সকলের।
দেশের জনগণ যখন উন্নততর জীবনের দিকে ক্রমেই অগ্রসরমান তখন কলঙ্কের ভারমুক্ত হয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে এমন ঘৃণিত ইতিহাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। তারা চায় অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড।
-